thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি বিএনপির

২০১৮ নভেম্বর ২০ ১৬:১৬:৩০
ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি বিএনপির

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছে বিএনপি।

নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে দলটি। শুধু সচিব নয়- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনার ও সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবেরও শাস্তি চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়। বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে এই বিচার চাওয়া হয়। চিঠিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দেয় প্রতিনিধি দল।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরেরদিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ করে যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঢাকা ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি, পিকআপে করে বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করে। এ ছাড়া নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে দুইজন নিহত হয়। এ সময় পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে স্বত:স্ফূর্ত জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়েচড়ে বসে। ‘কথিত আচরণবিধি’-এর নামে খড়গ নেমে আসে বিএনপির ওপর। ইসি সচিব গণমাধ্যমে আচরণবিধি পালনে কঠোর হুমকি নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।

১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতাকর্মী, সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্থ করেছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংগঠনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে প্রশ্ন রাখা হয়- আওয়ামী লীগের জনসমাগমে এটা ঘটেনি। কিন্তু বিএনপির সময় ১৪ নভেম্বর এ ঘটনা কীভাবে ঘটল?

চিঠিতে দাবি করা হয়, এই ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করেছে। ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৩৮ জন নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় ‘নির্বাচন কমিশনের সচিব, ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশের কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং জারিকৃত পত্রের স্বাক্ষরকারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর