thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

কোরআনের হারিয়ে যাওয়া দুই শহর

২০১৯ জানুয়ারি ১৮ ১৬:২৫:১৭
কোরআনের হারিয়ে যাওয়া দুই শহর

কানিজ ফাতেমা

যখন ২০০৭ সালে জর্দানের পেত্রা নগরীকে বিশ্বের নতুন সপ্তমাশ্চার্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়, যদিও ১৯৮৫ সাল থেকে এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ, প্রথম তখন আমি এই নগরী সম্পর্কে জানতে পারি;পত্রিকা,ইন্টারনেটে এর ছবি দেখি! গোলাপী পাহাড়ের গায়ে বেলেপাথর (sandstone ) কেটে বানানো বিশাল সব গোলাপি বাড়ি, কী সুন্দর! এই শহরের আরেক নাম তাই গোলাপ লাল শহর (The Rose Red city)!

তারপর একদিন কোরআন পড়তে গিয়ে একটা আয়াত পাই, “আর সামুদের প্রতি কেমন ব্যবহার করা হয়েছিল,যারা পাহাড়ের উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিলো!(সূরা ফাজর-৮৯)”

আয়াতটা পড়ে ধাক্কা খাই, আরে এরকম পাহাড়ে পাথরকাটা বাড়িইতো পত্রিকায় দেখেছি, জর্দানের পেত্রাতে!ভীষণ আগ্রহ নিয়ে শুরু করি পড়াশোনা,যা পেলাম তাই নিয়েই আমার এ লেখা!

৪০০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১০৬ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত নাবাটিয়ান বলে এক যাযাবর আরব জাতি ছিলো আর পেত্রা ছিলো এই নাবাটিয়ান রাজ্যের রাজধানী! একসময় নাবাটিয়ান আর আরব জাতি একই সমার্থক যারা কিনা ছিলো ইসহাক (আ) পুত্র । তখন পেত্রার নাম ছিলো রাকমু! গ্রিক ভাষায় রাকমু শব্দের অর্থ পাথর, বাইবেলেও এ নগরীর নাম এসেছে সেলা (Sela) বলে, সেলা এবং পেত্রা দুটির অর্থই পাথর!এই নাবাটিয়ানরাই হল কুরাআনে বর্ণিত সামুদ (Thamud) জাতি এবং জেনেসিস অনুসারে তারা ইসহাক (আ.) এর পুত্র এশার বংশধর (the Edomites)!পেত্রা লোহিত সাগর আর মৃত সাগরের মাঝখানে আর আরব, মিশর, সিরিয়া থেকে সুদূর রোমে আসা যাওয়ার সাধারণ যাত্রা পথের পাশে অবস্থিত!এই রাস্তা দিয়েই উটের কাফেলায় করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে আনা নেয়া হতো চীনের সুতো,সিল্ক,ভারতের মসলা ও সুগন্ধী! একচেটিয়া ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগে তারা পরিণত হয়েছিলো সেই সময়ের সবচেয়ে ধনী জাতিতে!

শুধু কি অর্থ-কড়ি,বাণিজ্যসূত্রে পরিচিত হওয়া মিশরিয়,রোমানিয়ান,হেলেনেস্টিক,সিরিয় সব ধরণের রীতি অনুসারে স্থাপত্য নির্মাণে ছিলো তাদের অসাধারণ পারদর্শিতা আর তারা তা প্রয়োগ করত এই পেত্রাতেই,যা পরিণত হয়েছিলো একান্তই তাদের নিজস্ব ঢঙে! নামের মতই পাহাড় আর পাথর যেন এই সম্রাজ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত! শহরের বাড়ি,সমাধি,মন্দির,তিন দিক ঘেরা বিশাল উন্মুক্ত মঞ্চ (amphitheatre), মার্কেট আর কিছুদূর পর পরই সারি সারি সুউচ্চ স্তম্ভ সব কিছুই তৈরি হয়েছে স্রেফ পাহাড়ি বেলেপাথর কেটে কেটে! পানি ছাড়া কোন শহরই টিকে থাকতে পারে না আর পেত্রার পানি সরবারহের ব্যবস্থা ২০০০ বছর আগে এতটাই উন্নত ছিল যা কিনা আধুনিক যুগের মানুষ মাত্রই কয়েক শতাব্দি আগে জানতে পেরেছে! পার্শ্ববর্তী শহর ওয়াদী মুসার (Wadi Musa )পাহাড়ী ৮টি ঝর্না থেকে একটি সুসমন্বিত ১২৫ মাইল দীর্ঘ ভূগর্ভস্ত পাইপলাইন বেয়ে পানি নগরীর প্রতিটি বাড়িতে পৌছে যেতো ! পেত্রা নগরীর মাটির নীচ জুড়ে আজও জালের মত ছড়িয়ে আছে সেই পানির পাইপ, ছিলো পানি জমিয়ে রাখার জন্য ৩৬ টি সুউচ্চ বাঁধ! প্রতিটি বাড়ির সামনে ছিলো সবুজ খেজুরের উদ্যান,স্বচ্ছ নীল পানির পুল! রুক্ষ ও বিরূপ মরুর বুকে তাদের অসাধারণ পানিপ্রকৌশল ব্যবস্থাপনা এই শহরকে বদলে দিয়েছিলো এক মরুদ্যানে, যেমন নেভাদা মরুভুমিতে আজকের লাস ভেগাস! তারপর হঠাৎ একদিন ২০-৩০,০০০ অধিবাসী নিয়ে এই ভীষণ সমৃদ্ধ শহর হারিয়ে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে,পরিণত হয় দ্যা লস্ট সিটিতে! কী হয়েছিলো তাদের সাথে?

এবার একটু কোরআনে যাই। আল্লাহ বলেন, "তোমাদেরকে কি পার্থিব ভোগ বিলাসের মধ্যে নিরাপদে ছেড়ে রাখা হবে? বাগ বাগিচার মধ্যে,ঝরনাসমূহের মধ্যে শস্যক্ষেত্র ও মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে? তোমরা তো পাহাড় কেটে গৃহ নির্মাণ করছ নৈপুণ্যের সাথে!”( সূরা: আশ শু’আরা)

প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, ৩৬৩ খ্রিস্টাব্দের এক ভূমিকম্পে এই শহর ধ্বংস হয় এবং হারিয়ে যায়, ৫২০ খ্রিস্টাব্দে এই শহরে দ্বিতীয় বার ভূমিকম্প আঘাত হানে! ১৮১২ সালের আগ পর্যন্ত এই শহর পশ্চিমাদের কাছে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিলো! সুইস অভিযাত্রী জোহান লুডউইগ বারখারদ বেদুইনদের মুখ থেকে হারানো এক শহরের (the lost city)কথা জানতে পারেন এবং প্রাচীন ম্যাপ, লোকমুখে শোনা কথা মিলিয়ে সেই শহরের খোঁজে এক অভিযানে বের হয় এবং অবশেষে ১৮১২ সালে একে খুঁজে পান!


সহজে খুঁজে না পাবার আরেকটি কারণ ছিল এর অসাধারণ সুরক্ষিত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য! পেত্রা নগরীর চারদিক দিয়ে খাড়া পাহাড়রাজি দিয়ে ঘেরা এক প্রকাণ্ড দূর্গ শহর! এমনকি আজকের এই আধুনিক যুগেও পেত্রা নগরীতে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে পারেনা,শহরে ঢোকার একমাত্র উপায় পায়ে হেঁটে চলা কিংবা উটের কাফেলা, এটা এতটাই সুরক্ষিত! কিন্তু কিভাবে?

এর কারণ হলো ১ কিমি দীর্ঘ একটি খাঁড়া পাথুরে গিরিপথ, প্রচলিত নাম সিক(Siq), যা কিনা পেত্রায় ঢুকার একমাত্র প্রবেশপথ এবং এক অনন্য প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ! ১৯৮৯ সালের চলচ্চিত্র ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স এন্ড দ্যা লাস্ট ক্রুসেডে’ এই সিক দেখানো হয়েছিলো! সিক দিয়ে প্রবেশ করলেই দেখতে পাওয়া যায় পেত্রার বিখ্যাত ১২৮ ফুট লম্বা আর ৮২ ফুট চওড়া বিশাল সমাধি আল খাজানার (The Treasury)। পেত্রায় এখনও এইরকম ১০০টি প্রাসাদ দেখতে পাওয়া যায়! খনন করে দেখা যায় এই বিশাল প্রাসাদগুলো মূলত সমাধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো,বাসস্থান হিসেবে নয়। তখন কোরআনের দিকে ভুলের আঙ্গুল তোলা হয় তবে কোরআন কিন্তু স্পষ্টই বলেছে,“আর তোমরা স্মরণ কর,যখন তিনি তোমাদেরকে আদ জাতির পরে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং এমনভাবে তোমাদেরকে ভূপৃষ্ঠে বাসস্থান দিয়েছেন যে, তোমরা সমতল ভূমিতে প্রাসাদ নির্মাণ করছ এবং পাহাড় কেটে বাসগৃহ নির্মাণ করছ।”(সূরা আল আ’রাফ:৭৪)

সমতল ভূমিতে তাদের বানানো প্রাসাদের স্পষ্ট চিহ্নই প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে পেয়েছেন,সম্ভবত সামুদ সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ সেখানে থাকতেন আর বাকিরা পাহাড়ে।

বর্তমান প্রত্নতাত্বিকদের মতে,ভুমিকম্পের অনেক আগেই এই শহরের অধিবাসীরা মারা যায়,কারণ ভুমিকম্পের ধংসস্তুপের আরও গভীরে পাওয়া গেছে মানুষ ও প্রাণী হাড় গোড়ের স্তর,যার সময়কাল ভুমিকম্পের সময় কালের থেকে আলাদা!তবে সেটির প্রকৃত কারন তারা উদ্ঘাটন করতে পারেননি,তাদের মতে হয়তো কোনো ফ্ল্যাশ ফ্লাড এজন্য দায়ী!

নাবাটিয়ান রাজ্য আজকের সৌদী আরবের মদীনা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো এবং সেখানেও পেত্রার মত পাহাড় কেটে বানানো হুবুহু একই ধরনের নির্মিত স্থাপত্যের দেখা পাওয়া যায়। মদীনা শহর থেকে ৪০০ কিমি উত্তরে এই শহরের বর্তমান নাম মাদায়েন সালেহ বা সালেহের (আঃ) শহর এবং প্রাচীন নাম Dedan ও Hegra।‘

'আর আমিতো ধ্বংস করেছিলাম তোমাদের আশেপাশের জনপদ সমূহ এবং আমার আয়াত সমূহ বারবার বিবৃত করেছিলাম,যাতে তারা ফিরে আসে।‘(৪৬:সুরা আল আহক্বাফ)

সেখানে ২১ কিমি জায়গা জুড়ে ১৩১টি এরকম স্থাপনা আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। পেত্রার মত এই শহরেরও ৪০ কি.মি দীর্ঘ গিরিপথ তথা সিক(siq) রয়েছে!

‘Hegra’ শব্দের আরবী হলো ‘হিজর’,আর কোরআনে আল হিজর নামে সম্পূর্ন একটি সূরা রয়েছে,সূরা নং ১৫!আরবীতে ‘হিজর’ শব্দের অর্থ আবদ্ধ জায়গা, কক্ষ, সমাধি বা দুর্গ! মাদায়েন সালেহ শহরের স্থাপত্যগুলিও বাসস্থান,সমাধি,উপাসনালয় ও দূর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হত!

“নিশ্চয় হিজরের অধিবাসীরাও রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিলো(৮০),তারা নিরাপদ বাসের (সুরক্ষা)জন্য পাহাড় কেটে নিজেদের বাসগৃহ নির্মাণ করত(৮২)।‘(১৫: সূরা আল হিজর)

কিন্তু কি কারণে আল্লাহ এমন একটি সমৃদ্ধ সভ্যতাকে ধংস করে দিয়েছিলেন; কারণটা আপাতদৃষ্টিতে খুবই সামান্য; একটি মাদী উট (a She Camel)!

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অন্যান্য জনপদের মত সামুদ জাতির জন্যও নবী পাঠিয়েছিলেন, সেই নবীর নাম ছিলো সালেহ (আ.)! সালেহ (আ.) নানাভাবে তাদেরকে মূর্তি পূজা ছেড়ে এক আল্লাহর পথে ডাকতে থাকেন!কিন্তু তারা তাদের বাপ দাদার ধর্ম ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়! তারপর একদিন সালেহ (আ.)র ধর্মপ্রচারের সময় তারা বলে বসে যদি সালেহের আল্লাহ তাদের দেখিয়ে দেয়া কোন পাথুরে পাহাড় থেকে একটি উট বের করে আনতে পারে,তবেই তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে!সাথে ছিলো আরও অদ্ভুত খামখেয়ালিপূর্ন শর্ত ,যেমন উটটিকে অবশ্যই হতে হবে মাদী তারউপর ১০ মাসের গর্ভবতী!সালেহ (আ.)আল্লাহর কাছে হাত তুললেন কিন্তু একই সাথে সতর্কও করলেন যে এরপর তারা যদি কোন বাড়াবাড়ি করে তবে আযাব অবশ্যম্ভাবী! আল্লাহ বলেন,“আমরা তাদের পরীক্ষার জন্য একটি উটনী প্রেরণ করবো। তুমি তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখো এবং ধৈর্য ধারণ কর।“(৫৪ : সূরা ক্বামার)

অবশেষে বিস্ময়ে সামুদ জাতির নির্দিষ্ট করে দেয়া পাহাড়ের এক পাথর থেকে দুলকি চালে বের হয়ে আসলো ১০ মাসের গর্ভবতী ভীষণ মায়াবী এক উটনী,সেই উট পরে একটি শাবকও প্রসব করে!

এখন কথা হল, দুনিয়ার এত জিনিষ থাকতে তারা উটই কেন চাইলো তাও আবার পাহাড় থেকে বের হওয়া ? আজ আমাদের কাছে অদ্ভুত শোনালেও সামুদ জাতির জীবনে উট আর পাহাড়ই ছিলো সব; তাদের জন্ম,মৃত্যু,বাসস্থান সবই ছিলো হয় পাহাড় এবং পাথর কেন্দ্রিক! যাযাবর জাতি উট ছাড়া সম্পূর্ণ রূপে অচল আর আজ তারা নগরীতে স্থির হলেও তাদের রুটি-রুজি, ব্যবসা বানিজ্য সব এই উটের চার পায়ের উপরই নির্ভরশীল !

একটা বিশাল পাথুরে গামলা বানানো হয়েছিলো যা উটনীর দেয়া দুধে পরিপূর্ন থাকতো!সালেহ (আ) এটিকে পালা করে পানি খাওয়ানোর দিন ধার্য দিয়েছিলেন,একদিন উটনী আরেকদিন শহরের মানুষ কারন উটনীর তৃষ্ণা ছিলো ভীষণ!

" এবং এটিকে স্পর্শ কর না কোন অনিষ্ট সাধনের জন্য, তাহলে মহা দিবসের আযাব তোমাদেরকে পাকড়াও করবে।"(২৬ সূরা আশ শু’আরা)

কিন্তু,উদ্ধত জাতি বিস্ময়ের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেই তাদের স্বরূপে ফিরে এলো! তারা এটিকে খাবার আর পানির কষ্টে তিলে তিলে মারতে চাইল! তারপর একদিন ক্ষুধার্ত উটনীটিকে তার শাবকের সামনেই পা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করল! ভীত শাবক ছানা মায়ের হত্যা দৃশ্য দেখে দৌড়ে ছুটে গেলো পাহাড়ের আড়ালে চিরদিনের মত, যে পাহাড় থেকে একদিন সে বেরিয়ে এসেছিল!

ঘটনার তিনদিন পরে এল সেই প্রত্যাশিত আযাব,বিকট কর্ণভেদী আওয়াজ আর তীব্র ভুমিকম্পের রুপে,যা দেখার জন্য তারা উটটিকে মেরে ছিল!তীব্র আওয়াজ থেকে বাঁচতে তারা নিজ নিজ ঘরে ছুটে গেলো কিন্তু বাঁচতে আর পারল না, ওইখানেই যে যে অবস্থায় ছিল উপুড় হয়ে মারা গেলো!

" তারপর তারা উটটিকে হত্যা করল ও স্বীয় প্রভুর আদেশ অমান্য করল এবং বলল, হে সালেহ! তুমি আমাদের উপর তা নিয়ে এস, যার ভয় তুমি আমাদের দেখাচ্ছ,যদি তুমি রাসুল হয়ে থাকো । অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করল, ফলে তারা নিজ নিজ গৃহে উপর হয়ে পড়ে রইল!" (সূরা আল আরাফ)

“ আর যারা সীমা লঙ্ঘন করেছিলো,এক বিকট গর্জন তাদেরকে পাকড়াও করল,ফলে তারা নিজেদের ঘরে উপুড় হয়ে রইল! যেন তারা কোন সময় সেখানে বসবাস করেনি...” (সূরা আল হুদ)

(আগামী পর্বে সমাপ্ত)


তথ্যপঞ্জি

১. UNESCO.com/Petra

২.City of Stones.The People of Aad. Part 1-4/youtube

৩.Who were the Nabateans?/Nabatea.org

৪.Petra :Could it be Al Hijr as mentioned in the Quran? The Muslims Times.

( http//themuslimstimes.info)

৫.The Thamud: Petra and Madain Saleh The Muslims Times.

( http//themuslimstimes.info)

৬.নবীদের কাহিনী।at-tahreek.com/nobider-kahini

৭.আল কোরান ২৭(৪৫-৫২),৭(৭৩,৭৫,৭৭)!

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জানুয়ারি ১৮,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

ধর্ম এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম - এর সব খবর