thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

তালাকে দুই পক্ষের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

২০১৯ এপ্রিল ১৫ ২১:২৯:১৮
তালাকে দুই পক্ষের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাকের ক্ষেত্রে সালিশি কাউন্সিলে স্বামী ও স্ত্রী পক্ষকে ডাকা এবং তাদের দুই পক্ষের উপস্থিতির ‘বাধ্যবাধকতা’ নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত জনস্বার্থমূলক এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

এ বিষয় আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানান, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ এর (৪) ধারা অনুযায়ী তালাকের আবেদনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপসের বা তালাক প্রত্যাহারের আবেদন না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

আর তালাকের আবেদনের পর সালিসি কাউন্সিল মধ্যস্থতার জন্য প্রতি ৩০ দিন অন্তর ৯০ দিনে তিনবার উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডাকার বিধান রয়েছে।

কিন্তু কাউন্সিলের এ ডাকে কোনো পক্ষ যদি না আসেন কিংবা কাউন্সিল যদি কোনো পক্ষকে না ডাকেন তাহলে তো ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে তালাক কার্যকর হলে তো সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। এর সঙ্গে দেনমোহর, ভরণ পোষণ, সন্তান থাকলে তার জিম্মা নেওয়ার বিষয় থাকে। সে কারণে তালাক হয়ে যাওয়ার পরও এ বিষয়গুলো নিয়ে মামলা হয়। যা নিষ্পত্তিতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই এবিষয়টি নিয়ে রিট করার পর আদালত রুল জারি করেন।

আদালত রুলে, সালিশি কাউন্সিলে দুই পক্ষকে ডাকা এবং তাদের দুই পক্ষের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রুল জারি করেছেন।

এবং মুসলিম আইন অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, ভরণ পোষণ, অন্যান্য খরচাদি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে সালিসি কাউন্সিল কার্যকরী করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও আদালত জানতে চেয়েছেন।

এছাড়াও মুসলিম আইন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আলোকে বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান হেফাজত, দেনমোহর ইত্যাদি বিষয়ে নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগেরে সচিব (ড্রাফটিং),মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, এলজিআরডি সচিব ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘ঢাকায় ঘণ্টায় এক তালাক’ শিরোনাম প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি সীমা জহুর ও আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম একটি রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করলেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/এপ্রিল ১৫,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর