thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1445

মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধই থাকল

২০১৯ এপ্রিল ২৫ ১০:২১:৫৯
মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধই থাকল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকার সাভারের আমিন বাজারে গড়ে উঠা মধুমতি মডেল টাউন আবাসিক প্রকল্প অবৈধই থাকল। এই প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের রিভিউ চেয়ে করা একাধিক আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে জলাশয় ভরাট করে নেওয়া প্রকল্প গ্রহণকারী কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথম শাস্তি পেল বলে জানান বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২০১২ সালে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে প্লট ক্রেতাদের দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা ফেরত দিতে মধুমতি মডেল টাউন আবাসিক প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রায়ে আরো বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১০০ বিঘার বেশি সম্পত্তি রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেডসহ পক্ষগুলোর পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেওয়া হয়।

রায়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সাভারের বিলামালিয়া ও বৈলারপুর মৌজা এলাকায় অবস্থিত প্রকল্পের জায়গা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভরাট করা মাটি অপসারণ করে ছয় মাসের মধ্যে জলাভূমিগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে আবাসন কোম্পানি মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেডকে।

রায়ে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই আবাসন কোম্পানি মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড আমিন বাজার এলাকায় মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প নামে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

গত ২০০৩ সালে সাভারের আমিন বাজারে মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেডের মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বেলা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে ২০০৪ সালে। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত রুল জারির পাশাপাশি প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ দেন। ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে ওই প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে বন্যাপ্রবাহ এলাকাকে সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড ও বেলাসহ অন্যরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে। এসব আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতবছর ২০১২ সালের ৭ আগস্ট আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর