thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত: উবার চালক সুমন আটক

২০১৯ এপ্রিল ২৬ ১৭:৪৬:৫০
দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত: উবার চালক সুমন আটক

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সড়কে দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হওয়ার ঘটনায় উবার মোটরবাইক চালক সুমন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে তেজগাঁও পুলিশ বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মোটরবাইক উবার চালক মো. সুমন হোসেনকে আটক করে।

সেসময় ওই বাসার নিচতলার গ্যারেজ থেকে লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটর বাইকটিও (ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮) উদ্ধার করা হয়।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কলেজ গেটে অবস্থানকালে তার থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার কলার (ফাহমিদা হক লাবণ্য) এর কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সুমন তাকে ফোন দেন।

লাবণ্য খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে আসতে বলেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং থেকে উবার মোটরবাইক চালক মো. সুমন হোসেনকে আটক করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ

উবার চালক সুমন পুলিশকে বলেন, শ্যামলী ৩ নং রোডের ৩১ নং বাসার সামনে লাবণ্য বাইকে উঠেন। রাস্তায় যানজট ছিলো। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে বাইকের সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখে ব্রেক কষেন।ফলে লাবণ্য মোটরবাইকের ডানদিকে পড়ে যান। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।

সড়কে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বাইকচালক সুমনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিলো কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোটরবাইকটি কেনার সময় এবং উবারচালক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সময় তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তা সঠিক ছিলো না।

ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার শেরে বাংলা নগরে সড়কে নিহত ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাসা শ্যামলী ৩ নং রোডে।

দুর্ঘটনার পর পথচারীরা লাবণ্যকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর থেকেই তাকে বহনকারী মোটরবাইক চালক সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মোটরবাইকসহ তিনি পালিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময় তিনি ভুল ঠিকানা উল্লেখ করেন।

বর্তমানে সুমন শেরেবাংলা নগর থানার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/এপ্রিল ২৬,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর