thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

পাবনায় শ্রমিককে পায়ু পথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ

২০১৯ মে ১১ ২১:০১:৫৬
পাবনায় শ্রমিককে পায়ু পথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় রসিকতা করে পায়ু পথে হাওয়া ঢুকিয়ে দুলাল হোসেন (২৮) নামের এক শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বরাত হোসেন নামের আরেক সহকর্মী শ্রমিকের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুলাল।

এর দু’দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে তাকে পায়ু পথে হাওয়া ঢোকানোর ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বটিয়ারতলা গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে। অভিযুক্ত বরাত হোসেন একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরজান আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্যদিনের মত দুলাল পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে শ্রমিকের কাজ করতে যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে দুলাল তার সহকর্মী বরাতকে ধুলা পরিস্কার করার মেশিন দিয়ে শরীরে বাতাস দিতে বলে। এ সময় রসিকতার ছলে বরাত হোসেন পাইপ দিয়ে দুলালের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে দিলে সে (দুলাল) অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রথমে তাকে পাবনা মেডিকেলে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে দুলালের মৃত্যু হয়।

এদিকে খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ দুলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা নিয়ে যান। এই ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বরাত হোসেন।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে দুলাল নামের ওই শ্রমিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। যেহেতু সদর থানা এলাকায় ঘটনা সেহেতু ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তবে পায়ুপথে হাওয়া ঢোকানোর কারণে তার (দুলাল) মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর।

চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পাবনা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত বরাত আলীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে ঘটনাটি যেহেতু সদর থানায় ঘটেছে, এ ব্যাপারে তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর এস্টেট অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কারখানা মালিকদের সাথে কথা বলে খোঁজ নিচ্ছি। কোন কারখানায় কাজ করতো দুলাল তারও কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এমএসআর/জুন ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর