thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

সরকার দলীয় সাংসদদের প্রতিবাদ এবং রুমিনের প্রতিক্রিয়া

২০১৯ জুলাই ০৮ ২১:৩৬:৩৯
সরকার দলীয় সাংসদদের প্রতিবাদ এবং রুমিনের প্রতিক্রিয়া

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জরুরি জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষন-বিধি ৭১ এ ফ্লোর নিয়ে জাতীয় সংসদে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা: বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার পথে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একমাত্র বাধা মনে করে, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এছাড়াও তিনি কথা বলেছেন গায়েবী মামলা ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে। তার এমন বক্তব্যের সময় সরকার দলের সাংসদরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সরকার দলের সাংসদদের এমন প্রতিক্রিয়ায় তিনি তার বক্তব্যের শেষ অংশ মৃদু হাসতে হাসতেই শেষ করেন। তার হাসি দেখে সংসদে উপস্থিত সিনিয়র সংসদ সদস্যরা অন্যদের থামার জন্য বলেন।

রুমিন তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন: আমি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার পথে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একমাত্র বাধা মনে করে, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মামলার মেরিট, বয়স, শারীরিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থান ও জেন্ডার বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন মামলা, মিথ্যা মামলা তার সামনে আনা হচ্ছে।

তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হওয়া মামলা গুলো সরকার দলীয়রা নিজেদের মতো করে নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন: এক এগারোর সরকারের সময় মামলা হয়েছে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো তুলে নিয়েছে। আগের মামলার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হয়েছে। গায়েবি মামলা নামে এক অদ্ভুত মামলা শুরু হয়েছে মাননীয় স্পিকার। নির্বাচন আগে সেই মামলায় মৃত ব্যক্তি, পঙ্গু ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তিকেও এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে। ঘটনা ঘটবার আগে মামলা, এই ধরনের অদ্ভুত সব মামলা করা হয়েছে গায়েবি মামলার নামে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’র উদ্ধৃতি তুলে ধরে বিএনপির এ নেত্রী বলেন: সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করার পরে এখন হাত বাড়িয়েছে উচ্চ আদালতের দিকে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই রায় তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ নাক উঁচু করে টিকে আছে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৮,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর