thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ডিআইজি মিজানের ভাগ্নের অর্থের উৎস জানতে চায় হাইকোর্ট

২০১৯ জুলাই ২৯ ১৮:৪২:৫৮
ডিআইজি মিজানের ভাগ্নের অর্থের উৎস জানতে চায় হাইকোর্ট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে কারাগারে থাকা এসআই মাহমুদুল হাসানের অর্থের উৎস জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার অর্থের উৎস জানতে চেয়েছেন আদালত। কারণ সে চাকরিতে যোগদানের আগেই অনেক টাকা আছে বলে দেখিয়েছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ গ্রহণ করে।

মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর একাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সে টাকা ভাঙ্গিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না রহমান কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।


মামলায় গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পর আদালত তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে ৪ জুলাই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চায় মাহমুদুল। তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান আদালত। পরে সে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর