দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি: চামড়ার বাজারে বিপর্যয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার। তারল্য সংকটের অজুহাত তোলা হলেও বিপর্যয়ের মূল কারণ দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেয়। যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। রাস্তায় ফেলে যাওয়া চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের নব্য প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত টনক নড়ে সরকারের। বিপুলসংখ্যক চামড়া নষ্ট করে ফেলায় এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এ পরিস্থিতিতে ঈদের পর দিনই তড়িঘড়ি কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এবার লবণ ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটও এর সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের রাতে সাতশ’ টাকা বস্তার (৬০ কেজি) লবণ বিক্রি হয় ১২৫০ টাকায়। বিদ্যমান অন্যান্য সংকটের সঙ্গে যোগ হচ্ছে চামড়া সমস্যা। মহলবিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করে বলে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কাজেই তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চামড়ার দামে কারসাজি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের পর্যাপ্ত টাকা দেয়া হয়েছে। কাজেই তারল্য সংকটের অজুহাত মেনে নেয়ার মতো নয়।
এটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে চামড়ার দাম কমেছে। সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এদিন সারা দেশে লাখ লাখ পশু কোরবানি হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে দু’টি সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয়। এর একটি ট্যানারি মালিক পক্ষ অপরটি আড়তদারের পক্ষ। চামড়ার বাজারে এবারের অবস্থার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই একে অপরকে দোষারোপ করে পার পেয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিঃস্ব হয় মৌসুমি ব্যবসায়ী, বঞ্চিত হয় কোরবানিদাতা এবং গরিব ও এতিমরা। সিন্ডিকেট গরিব এতিমদের ভাগে থাবা বসিয়েছে। উল্লেখ্য, চামড়া বিক্রির টাকা দুস্থ গরিব এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
চামড়ার বাজারে ধস নামার কারণে দরিদ্র মানুষগুলো মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে কম দামে চামড়া কিনে মোটা অঙ্কের মুনাফা করবে ট্যানারির মালিক ও আড়তদাররা। এখন কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি মেলায় শত শত কোটি টাকার অতিরিক্ত লাভ হাতিয়ে নেবে এ চক্রটি।
জানা গেছে, ট্যানারি শিল্পের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ পূরণ হয় কোরবানির ঈদে। এই ৬০ শতাংশের চামড়ার বাজার থেকে বেশি মুনাফার আশায় মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও তাই করা হয়েছে। এটি করা হয় সরকারকে সঙ্গে নিয়েই। অথচ সারা বছর ৪০ শতাংশ সংগ্রহকৃত চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয় না।
প্রশ্ন উঠেছে কার স্বার্থে কোরবানির চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। মূল্য বেঁধে দেয়া হলেও দেশের ভেতর চামড়াজাত পণ্যের দাম কমছে না। এক জোড়া চামড়া জুতা এখনও কমপক্ষে ছয় থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সিন্ডিকেট ব্যস্ত থাকে কত কম দামে চামড়া নিজের ট্যানারিতে ঢোকানো যায় তা নিয়ে।
অপরদিকে ট্যানারির মালিকদের কাছে সারা দেশের আড়তদারদের পাওয়া ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকা ঈদের আগেই শোধ দেয়ার কথা। এজন্য ট্যানারি
মালিকদের ব্যাংক ঋণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এ সুযোগে আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে মাঠ পর্যায়ে চামড়া কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে মৌসুমি ক্রেতা ও কোরবানিদাতাদের চামড়া বিক্রির জায়গা ছিল না। সারা দেশের আড়তগুলো থেকে একই কথা বলা হয়েছে তারল্য সংকট। এজন্য চামড়া কেনা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের মতে আড়তদারদের সিন্ডিকেটের বিষয়টি এক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এর সঙ্গে এবার আরও একটি সিন্ডিকেট যোগ হয়েছে। সেটি হচ্ছে কতিপয় লবণ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। ঈদের রাতে এক বস্তা (৬০ কেজি) লবণের দাম ১২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
অথচ এক সপ্তাহ আগে অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়েছে। লবণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অনেকে চামড়া কিনতে সাহস পায়নি। চামড়ার বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের এটাও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, সারা বছর চামড়া কেনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হয় না। অথচ ঈদের সময় দাম বেঁধে দেয়া হচ্ছে। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে।
১০ টাকার ছাগলের চামড়ায় লবণ মেশাতে শ্রমিকদের মজুরি গুনতে হয় ২০ টাকা, দুই ফুট ছাগলের চামড়া প্রায় এক কেজির ওপর লবণ মেশাতে হবে। পাশাপাশি এটি হেমায়েতপুর নেয়া পর্যন্ত পরিবহন ভাড়া রয়েছে।
এসব হিসাব করে দেখা গেছে সরকারের নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দাম হয়ে যা। ফলে অনেক ব্যবসায়ী দাম কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। অথচ দাম বেঁধে না দিলে তারা মুক্ত বাজারে কেনা বেচার সুযোগ পেতেন।
চাহিদা এবং পণ্যের মানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হতো। এ শিল্পের ক্ষেত্রে যা আগে প্রযোজ্য ছিল।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বুধবার বলেন, চামড়ার বাজারে এই অস্থিতিশীলতার জন্য আড়তদারগণ দায়ী। কারণ ট্যানারির মালিক পক্ষ আগামী ২০ আগস্ট থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে। এখন কিনছে আড়তদাররা। তিনি আরও বলেন, সারা বছর দাম বেঁধে দেয়া হয় না।
শুধু কোরবানিতে দেয়া কারণ যাতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল না করে। এখন যে পরিস্থিতি দাম বেঁধে না দিলেও চলবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার মূল্য কম।
এসব দিক বিবেচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ কমে কোরবানির পশুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়েছে।
এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া মাত্র ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাত্র ৬০ টাকায়ও গরুর চামড়া বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ ৫০০ টাকায় গরুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়। আর একটি ছাগলের চামড়া ২০ টাকা ও বকরির চামড়া ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার ও পরের দিন মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে পশুর চামড়ার দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের দিন শুরু থেকে কোরবানিদাতারা চামড়া বিক্রির লোক খুঁজে পায়নি। যারা বিক্রি করতে পেরেছেন তাও নামমাত্র মূল্যে। ন্যায্যমূল্যে না পেয়ে অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার, লোকজনকে বিনা পয়সায় দিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ গজমহলের বাসিন্দা এনাম হোসেন সায়েম জানান, পাঁচটি গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ২ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, সরকার চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়ার পরও নির্ধারিত মূল্যে কেনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চামড়া রফতানি করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। কিন্তু এ বছর অনেক চামড়া মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়। সরকার এ খাতে ওয়েট ব্ল– চামড়া রফতানির অনুমোদন দিতে পারে। এটি চালু হলে চামড়ার মূল্য বাড়বে। কারণ তখন চামড়া খুঁজে খুঁজে সবাই কিনবে।
জানা গেছে, দাম না পেয়ে চটগ্রামে ১ লাখ পিস চামড়া রাস্তায় ফেলে দেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলে। সিলেটে রাস্তায় ফেলে দেয়া ২০ ট্রাক চামড়া পরিষ্কার করেছে সিটি কর্পোরেশন। আর ফতুল্লায় কয়েক হাজার চামড়া রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এই পচা চামড়া সরাতে সীমানা নিয়ে দুই কর্পোরেশনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো চিত্রে দেখা যায়, নদীতে মাছের খাবার হিসেবে কেটে চামড়া ফেলে দিয়েছে, অনেকে প্রবহমান নদীর পানিতে ফেলে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেক কোরবানিদাতা নিজেই মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন।
সৈয়দপুরে ৮০০ পিস চামড়া মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়। জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ)’ সভাপতি হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার জানান, চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ট্যানারি মালিকরা, রফতানি করছেন তারা। কিন্তু বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে আড়তদারদের।
আড়ত মালিকরা ৩০০ কোটি টাকা পাবে ট্যানারিগুলোর কাছে। ঈদের আগে মাত্র ৩টি ট্যানারি শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে। ৭টি ট্যানারি ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পাওনা দিয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ ট্যানারির মালিক বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি আরও বলেন, সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোতি দিয়েছে। এখন চেষ্টা করা হবে কাঁচা চামড়া রফতানির।
সাভার প্রতিনিধি জানান, ট্যানারি শিল্প এলাকায় বুধবার সকালে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা চামড়ায় লবণ না দিয়েই ঈদের দিন রাতে ট্রাকে করে চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া ট্রাকেই রেখেছেন। জায়গার অভাবে কোথাও নামাতেও পারছেন না, অন্যদিকে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ।
সাভার ট্যানারির এএস লেদারের পক্ষে চামড়া কিনছেন গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, চামড়া ভালো হলে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত চামড়া কেনা হয়েছে পাঁচ হাজারে উপরে। তিনি আশা করছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে লবণ দেয়া কাঁচা চামড়া এসে পৌঁছবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানায়, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে চামড়া ফেলে চোখের পানি মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ধরনের অন্তত এক লাখ চামড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্রাকে তুলে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুঁতে ফেলেছে। চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি এবার সাড়ে পাঁচ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশের মতো চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রধান শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যীশু বলেন, ‘বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো ও মুরাদপুর এলাকা থেকে প্রায় ৭০ ট্রাকে ১ লাখ পিসের মতো চামড়া আমরা অপসারণ করেছি।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরেফিন নগর এলাকায় এবং হালিশহরের আনন্দবাজারে আমাদের নির্দিষ্ট আবর্জনার ভাগাড়ে তা পুঁতে ফেলা হয়েছে। সিলেট ব্যুরো জানায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি।
এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, ‘নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। ঈদের দিন বিক্রি করতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন মোড়ে এসব চামড়া রাখা ছিল। পরে সেগুলো ডাম্পিং করা হয়।’
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনার লোক না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাজশাহী, যশোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ফতুল্লাহসহ দেশের প্রায় সব জেলায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গরু-ছাগলের চামড়া কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। চাপাচাপির মুখে পানির দামে কিনেছেন। গরুর চামড়া দুই থেকে আড়াইশ টাকায়। কোথাও এর চেয়েও কম। ছাগলের চামড়া ১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যুরো অফিস এবং প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত : ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে কাঁচা চামড়ার গুণাগুণ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন : কাঁচা চামড়া রফতানির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ট্যানারি মালিকদের অ্যাসোসিয়েশন বিটিএ।
বুধবার ধানমণ্ডির নিজস্ব অফিসে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সেখানে বিটিএ’র সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জেনেছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
এতে শতভাগ দেশীয় এ শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্পনগরী প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার অভাবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়বে। এতে হুমকির মধ্যে পড়বে এ শিল্পনগরীতে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৫, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- আবার আল-শিফা হাসপাতালে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
- গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত: ইউনিসেফ
- নির্বাচনে জিতে পরমাণু যুদ্ধের হুশিয়ারী পুতিনের
- আবারও কাঁপল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত
- জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্ত ছাত্র ও প্রক্টর রিমান্ডে
- তিন দিন ছুটির পরে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী
- একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের চাপ ছিল না: নজরুল ইসলাম
- সারাদেশে ১ দিনের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
- টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্র্যাক ব্যাংক
- সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ২১ মার্চ
- পূবালী ব্যাংকের পার্পেচুয়াল বন্ডের ১০ শতাংশ কুপন রেট ঘোষণা
- তীব্র দাবদাহে স্বস্তির বাতাস দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- একীভূত হলো পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
- কবি শামসুল ইসলামের জন্মদিন আজ
- নির্বাচন ও স্বতন্ত্র ত্বত্ত্ব
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আ.লীগের সভা কাল
- ঈদের আগে রেলের ভাড়া বাড়বে না: রেলমন্ত্রী
- গাজায় বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী
- "মানুষ অসচেতন থাকলে ১০টা বার্ন করেও প্রাণ বাঁচাতে পারবো না"
- বিএনপির নামে ফেক ভিডিও বানিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে: রিজভী
- "ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নির্বোধের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন"
- "এনডিআই-আইআরআই কী বলল এতে কিছু আসে যায় না"
- ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ
- গুজবে কান দিবেন না: বিএসইসি কমিশনার
- ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স
- ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ফু-ওয়াং সিরামিক
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.৭৮ শতাংশ
- অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সহায়তার আশ্বাস
- রেনাটার ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
- অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা পাবেন নগদে
- সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এমডির মতবিনিময়
- বাংলাদেশ ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি সই
- হারল্যান স্টোর থেকে পণ্য কিনে লাখপতি খাগড়াছড়ির প্রবিকা চাকমা
- দেশে প্রথম ৬ স্টার এনার্জি রেটিং আনলো ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন তামিম
- লিটনকে বাদ দেওয়ার কারণ জানালেন লিপু
- গাজায় মানবিক সহায়তায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: ইইউ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে নীরবতা, তবে কাটেনি আতঙ্ক
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- জাতির মহানায়কের আজ ১০৪তম জন্মবার্ষিকী
- বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ: ওবায়দুল কাদের
- ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুন্ন হয়েছে, দুই সংগঠনের প্রতিবেদন
- "অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে"
- ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল
- বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণে যেসব পরিবর্তন আসবে
- "মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রেখেছিল"
- গুলশান লেকে মাছ নয়, মশার চাষ হচ্ছে: মেয়র আতিক
- "জলদস্যুরা সব খবর দেখছে, তাই সংবাদ প্রচারে সতর্ক থাকতে হবে"
- সরকার দেশ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়: মঈন খান
- "সরকার এবার বলবে লেবুর বদলে জলপাই বা কামরাঙ্গার জুস খান"
- ভারতের কারণেই নির্বাচনে অশুভ খেলা সফল হয়নি: কাদের
- আমার ২০-৩০ রান কম করেছি: হৃদয়
- অভিনেতা অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
- রোনালদোর ফিফটি, আল নাসেরের জয়
- শিক্ষক-প্রক্টরকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ২০
- এই প্রথম গাজা উপকূলে পৌঁছাল ত্রাণবাহী জাহাজ
- ২৯ কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার
- ঝিনাইদহ -১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই আর নেই
- এমভি আবদুল্লাহয় অবস্থানরত জলদস্যুর ছবি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আশ্বাস উপাচার্যের
- রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে মাস্টারপ্ল্যান করেছে সরকার: রিজভী
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স
- বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই: মির্জা ফখরুল
- গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু
- সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- "ভোক্তারা সুবিধা না পেলে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেয়া হবে না"
- রমজানের প্রথম জুমায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ বায়তুল মোকাররম
- দুর্নীতি লুকানোর নতুন কৌশল: একীভূত হচ্ছে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক
- শিক্ষক-প্রক্টরকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ড. ইউনুস ও ভারতীয় পণ্য বর্জন ইস্যুতে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- চার রাষ্ট্রায়ত্তসহ ৯ ব্যাংক রেড জোনে
- কমিটি ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা না যেতেই রওশনের জাপা থেকে সেন্টুর পদত্যাগ
- পাট খাতের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন ফরহাদ আহমেদ আকন্দ
- দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ডিসেম্বরের মধ্যে একীভূত করা হবে
- সূচক বেড়ে লেনদেন চলছে
- সবচেয়ে দীর্ঘতম রোজা যেসব দেশে
- যেভাবে জিম্মি হয় এমভি আব্দুল্লাহ, অডিও বার্তায় বর্ণনা দিলেন চিফ অফিসার
- সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের করা মামলায় দুদকের চার্জশিট
- বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- গ্রামীণফোন এবং রবি পেলো একীভূত লাইসেন্স
- দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়তই লাগাম ছাড়াচ্ছে, বিপাকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত
- ঈদে মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি
- রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকবে: আপিল বিভাগ
- ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে নতুন সার্কুলার
- ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চায় সরকার: রিজভী
- এমভি আবদুল্লাহয় অবস্থানরত জলদস্যুর ছবি প্রকাশ
- গুলশান লেকে মাছ নয়, মশার চাষ হচ্ছে: মেয়র আতিক
- টিকটক নিষিদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস
- তুরস্কে পাঠানোর কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত, আটক ২
- বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল: মেজর (অব.) হাফিজ
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- অতিরিক্ত তুষারপাতে আফগানিস্তানে ৬০ জন নিহত