thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন’

২০১৩ নভেম্বর ১০ ১১:০৯:২৬
‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন’

তারেক সালমান, দিরিপোর্ট২৪ : সম্প্রতি প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাসায় নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গুঞ্জন ওঠে বিএনপি চেয়ারপারসন গৃহবন্দি।

মিডিয়ায় খবরও আসে, খালেদা জিয়ার বাসায় কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। দিরিপোর্ট২৪- এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিরোধীদলীয় নেতা গৃহবন্দি নন। তার বাসায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো বিধিনিষেধ নেই।

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শনিবার রাতে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

রিজভী বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) গৃহবন্দি নন। তিনি নিজ থেকেই অফিস করছেন না। আগামীকাল (রবিবার) তিনি অফিসে (গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়) যেতে পারেন। সরকারের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তারা ম্যাডামকে মুভ করতে নিরুৎসাহিত করছে।’

এদিকে, খালেদা জিয়ার গুলশানের ভাড়াবাড়ি ‘ফিরোজা’র সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার দুপুরে গুলশান কার্যালয় থেকে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে হঠাৎ করেই বাড়ির দুই পাশে পুলিশের স্ংখ্যা বেড়ে যায়।

পুলিশ ছাড়াও র‌্যাবের টহল গাড়িও বাড়ির সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করে। শনিবার সকাল থেকেই আনা হয় বেশ কিছু মহিলা পুলিশ সদস্য। এরপর বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে স্ক্রল দেওয়া হয় বিরোধীদলীয় নেত্রীকে গ্রেফতার করা হতে পারে। শুরু হয় জনমনে নানান গুজব।

শুক্রবার রাতে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করলে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

তাছাড়া, ওই দুই নেতাকে আটকের পর বিএনপির অন্য নেতারাও দলীয় প্রধানের বাড়ি এড়িয়ে চলছেন।

শনিবার গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ি ‘ফিরোজা’র সামনে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়। ছিল সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশকিছু সদস্য।

এরও আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, এমকে আনোয়ার এমপি ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে। দুটি মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচজনকেই শনিবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

ওই পাঁচজন বিশেষ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপির কোনো নেতা চেয়ারপারসনের বাড়িতে আর প্রবেশ করেননি। খালেদা জিয়া বাড়িতেই ছিলেন, সারাদিন তিনি বের হননি।

অবশ্য, শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ৫/৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাতের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় যান। তারা সেখানে দীর্ঘসময় বৈঠকও করেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দলের কয়েকজন নেতা গাড়ি নিয়ে দলীয় চেয়ারপারসনের বাড়ির কাছে গিয়েও গ্রেফতারের আশঙ্কায় ফিরে গেছেন। নিকট আত্মীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছাড়া আর কাউকে ওই বাড়িতে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি।

শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা খাবার নিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। ঘণ্টা-দুয়েক পর তিনি চলে যান। তিনি ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী বিকেলে ওই বাসায় গিয়েছিলেন।

কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ-র‌্যাব সেখানে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের আকস্মিক অবস্থানের কারণে ওই বাড়ির সামনে গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিড় করছেন।

(দি রিপোর্ট/টিএস/এমসি/এইচএসএম/নভেম্বর ১০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর