thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

মাকে অপমান করায় কলেজের ৩ তলা থেকে লাফ দিল ছেলে

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৫:৫২:৫২
মাকে অপমান করায় কলেজের ৩ তলা থেকে লাফ দিল ছেলে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর বনফুল আদিবাসী গ্রীন হার্ট কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজ ভবনের তৃতীয়তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, আহত অবস্থায় ছেলেটিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা রয়েছে।

সোমবার সকালে মিরপুর-১৩ এর আহসানউল্লাহ রোড-১ এর (প্লট-৪, ব্লক-এ) কলেজ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

আত্মহত্যার চেষ্টা করা ছেলেটির নাম শাহরিয়ার আলম আকাশ। সে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র।

আকাশের আত্মহত্যার চেষ্টার পরই কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিতে থাকেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ থামাতে এলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে যান কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফারুকুজ্জামান।

ঘটনাস্থল থেকে কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ছেলেটির পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় কলেজ থেকে সকালে তার মাকে ফোন দিয়ে অপমান করা হয়। এ নিয়ে ছেলেটির সঙ্গে বাড়িতেই মায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সে কলেজে এসে তৃতীয়তলা থেকে নিচে লাফ দেয়। আমরা কলেজে ছেলেটিকে পাইনি। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় তার সহপাঠীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস (বিচার চাই)’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা শান্ত হন।

মনিকা নামের এক অভিভাবক বলেন, স্কুল শাখায় আমার ছেলে পড়াশোনা করে। তাকে স্কুলে দিতে সকালে যাই। তখন শুনতে পাই আকাশ নামে একটি ছেলে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি গেট দিয়ে ঢুকতেই মারামারি দেখি। এরপর বের হয়ে যাই। সন্তানকে আর স্কুলে দেইনি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, নিজেদের দোষ ঢাকতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে ফেলেছে। তবে এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে তার সামনেই অপমান করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী।

এরপর অরিত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাও হয়। এ মামলা এখনও বিচারাধীন। ওই ঘটনার পর আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর