thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

আবরার হত্যার বিচার চাইলেন আসামির মা

২০১৯ অক্টোবর ০৯ ১০:৫৭:৪১
আবরার হত্যার বিচার চাইলেন আসামির মা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আবরার ফাহাদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন এই মামলার অন্যতম আসামি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার মা কুলসুমা আক্তার শেলি। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, ঘটনার রাতে মুন্না তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় মুন্না বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

কুলসুমা আক্তার বলেন, আজ আবরারের স্থলে আমার ছেলে মারা গেলেও আমি পুত্রহারা হতাম। আমি এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

ঘটনার পরই পুলিশের হাতে আটক হন মুন্না। এ ব্যাপারে মুন্নার মা বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে সন্দেহজনকভাবে। আমার ছেলে এমন বর্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।

মুন্নার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পিতা পরলোকগত আহাদ আলী মেম্বার ছিলেন বিএনপির একজন কর্মী। তারা পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থক। এ পরিবারের সন্তান ইশতিয়াক মুন্না বুয়েটে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বনে যান।

কুলসুমা আক্তার জানান, গত শনিবার বিকালে তার ৩ ছেলেকে নিয়ে চুনারুঘাটের ঘরগাঁও গ্রামে পীর মোর্শেদ কামালের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসেন। রোববার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় বুয়েটের ইশতিয়াক মুন্না বাসযোগে ঢাকায় চলে যান। সোমবার সকালে ছেলের ফোন না পেয়ে তিনি ফোন করলে তার ফোনে কল যায় না। এরপরই মুন্নার এক বন্ধু তাকে জানায়, মুন্নার হলে (শেরেবাংলা হল) সমস্যা হয়েছে। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে প্রথমে চকবাজার পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশের কাছে রয়েছে। মুন্নাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মুন্নার মা আরও জানান, নিহত আবরারের বাবা যে মামলা করেছেন তাতে তার ছেলে মুন্নার নাম নেই। এ ছাড়া যে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে তাতেও মুন্নার ছবি নেই। তিনি জানান, সে ছাত্রলীগ করত আমি জানি।

মুন্নার চাচা ওয়াহেদ আলী জানান, মুন্না রোববার বাড়িতে এসেছিল। রাতে ঢাকা যাওয়ার সময় আমার সঙ্গে বিদায় নিয়ে গেছে।

এলাকাবাসী বলছে, ইশতিয়াক মুন্নারা ৩ ভাই। সবাই মেধাবী। মুন্না গ্রামের ঘরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ২০০৮ সালে তারা বাবা মারা যান। পরে বাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মায়ের কাছে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকায় ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজ থেকে পাস করে বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। বড় ভাই আশরাফ আহমেদ মনির সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লে. হিসেবে যোগদান করে এখন ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ভাই ইফতেখার আহমেদ রানা শাবিতে পড়ালেখা করছে। তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর সেখানে ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর