আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার পর তার কক্ষে মাদক রেখে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। এমনকি এই নাটক সাজানোর জন্য রাতে পুলিশ ডেকেও তাদের গাড়ি হল চত্বরে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ। তবে আবরারের সহপাঠীদের পাহারা এবং পরবর্তীতে শিক্ষকদের তৎপরতার কারণে তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
যেভাবে ডেকে নেওয়া হয় আবরারকে
৬ অক্টোবর রাত ৮ টা। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন বুয়েটের ১৭ তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এহতেশামুল রাব্বি তানিম ওই কক্ষে আসে। তারা এসে আবরার ফাহাদকে খুঁজতে থাকে। এসময় কক্ষে আবরারের বন্ধু ও রুমমেট অন্তিম পড়ছিলেন। আবরারকে তারা ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। ঘুম থেকে উঠে আবরার বিছানায় বসে। আবরারের পরনে ছিল কালো ট্রাউজার ও নিজের বিভাগের পিকনিকের সময়ে দেওয়া কালো টি-শার্ট। আবরার ঘুম থেকে উঠলে জেমি তাকে বলে, ‘ভাইরা তোকে ২০১১ নম্বর রুমে ডাকে। তোর মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে চল্।’ এসময় কক্ষের সামনে ছিল ১৭ তম ব্যাচের মুয়াজ, সাইফুলসহ আরও ৫/৬ জন। আবরারকে নিয়ে তারা সবাই ২০১১ নম্বর কক্ষে যায়। আবরারকে কক্ষ থেকে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার অপর দুই রুমমেট ১৬তম ব্যাচের মিজান ও ১৭ তম ব্যাচের রাফি রুমে আসে। তাদের রুমে রেখে অন্তিম পলাশীতে কফি খেতে চলে যান।
অন্তিম বলেন, ‘আবরারের সঙ্গে আমার ওটাই শেষ দেখা ছিল। আমাদের পরীক্ষা থাকায় রাত জেগে পড়তে হয়। তাই সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে আবরার রাতে পড়তে চেয়েছিল। আমাকে ঘুমানোর আগে বলেছিল, ‘৯ টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিস।’ এটাই আবরারের সঙ্গে আমার শেষ কথা।
আবরারকে নির্যাতনের পর রুম থেকে তার আরেক সেট পোশাক নিয়ে যায় ছাত্রলীগকর্মী জেমি
আবরারকে একদফা মারধরের পর রাত ১০ টার দিকে তার রুমে (কক্ষে) জামা কাপড় নিতে এসেছিল ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি। অন্তিম পলাশী থেকে কফি খেয়ে এসে দেখেন কক্ষটি তালা দেওয়া। অপর দুই রুমমেট রাফি ও মিজান ওইসময় কক্ষে ছিলেন না। তিনি চাবি নিয়ে বের না হওয়ায় অন্য দুজনের জন্য পাশের ২০১০ নম্বর কক্ষে বসে অপেক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর মিজান ও রাফি কক্ষে এলে তারা তিনজন কক্ষে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ১০টার দিকে ফের জেমি ওই কক্ষে এসে আবরারের জামা কাপড় চায়। তারা বুঝতে পারেন, আবরার র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। একই ব্যাচের হলেও জেমি ছাত্রলীগ নেতা, সে আবরারের পরিধেয় গ্রামীণ চেকের একটি শার্ট ও একটি ট্রাউজার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবরারের লাশের গায়ে গ্রামীণ চেকের সেই শার্টটি দেখা যায়। সেটিও ছেঁড়া ছিল। জেমি যখন জামা কাপড় নিতে আসে, তখন তার রুমমেটরা আবরারের খবর জানতে চায়। জেমি তাদের জানায়, ‘আবরার ঠিক আছে।’
আবরারের রুমমেট অন্তিম বলেন, ‘‘এভাবে অনেককেই তারা বিভিন্ন সময়ে ডেকে নিয়ে ‘টর্চার’ করে ছেড়ে দিতো। খারাপ লাগলেও সাধারণ ছাত্রদের কিছুই করার ছিল না। আমরা ভাবছি, হয়তো এখন আবরারকে ছেড়ে দেবে। তাকে হয়তো রেস্টে থাকতে দিয়েছে। আমি যখন খেতে যাই তখন একবার তানিমকে নিচে দেখি। তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল। তাছাড়া জেমি আমাদের সহপাঠী, সে আবরারকে মেরে ফেলবে, এটা বুঝতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমি, মিজান ভাই (১৬ তম ব্যাচ), রাফি যখন রুমে আসি তখন আমাদের রুমে ব্যাচমেট ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাইফুল আসে। তার মুখ শুকনা দেখায়। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম আবরারের কী অবস্থা? সে বললো ঠিক আছে। আমরা তাই আর কিছু সন্দেহ করিনি।’
হত্যাকাণ্ডকে মাদক দিয়ে গণপিটুনির নাটক সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু না পাওয়ার পর তার কক্ষে মাদক রেখে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বুয়েট ছাত্রলীগের এসব নেতা-কর্মী। তবে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বিষয়টি আবরারের কক্ষের অন্য সহপাঠীদের জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জেনে ওই নেতাদের চাতুরি ঠেকাতে ১০১১ নম্বর কক্ষটির দরজা জানালা সব বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ওই কক্ষের পাশের একটি কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) চেয়েছিল ১০১১ কক্ষে মাদক রাখবে। আমরা পরে কক্ষটি পাহারা দেই। সবাই ঘুম থেকে ওঠার পর ছাত্রলীগ ধীরে ধীরে গা ঢাকা দেয়। তারপরও আবরারের কক্ষ আমরা পাহারা দেই।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের (পুলিশকে) খবর দিয়েও পরবর্তীতে তারা আর হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা বলছিল, ‘শিবির ধরা পড়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ কিন্তু, থানা পুলিশ গেলে তাদের হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা লাশ অনেকক্ষণ আটকে রেখেছিল। পরে শিক্ষকরা আসার পর আমরা লাশ ঢামেক হাসপাতালে পাঠাতে সক্ষম হই।’
শেরেবাংলা হলে আবরারের লাশের পাশে রাতে যাদের দেখা গেছে
রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তিতুমীর হলে খেতে যান অন্তিম। ৩টার দিকে হলের গেটে প্রবেশ করেই দেখতে পান স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ। সারা শরীরে দাগ। লাশের পাশে তার রুমমেট মিজান ও রাফি কান্না করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্ট্রেচারে থাকা আবরারের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, মুয়াজ, মেকানিক্যাল ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গেটে পাহারা বসায় যাতে হলের কেউ বের হয়ে প্রতিবাদ না করতে পারে। অপরদিকে, হল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বুয়েটের ডাক্তার মাসুক এলাহী, প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, সহকারী প্রভোস্ট ড. ইফতেখার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মিজানুর রহমান স্ট্রেচারের পাশে ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী ওই সময়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (পরে স্থায়ী বহিষ্কৃত) মেহেদী হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বর্ণনা দিয়েছেন। স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ পড়ে থাকা অবস্থায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ডাক্তার মাসুক এলাহীকে বলেন, ‘ওকে (আবরার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।’ ডাক্তার তার জবাবে বলেন, ‘ও, ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে মারা গেছে। ওকে হাসপাতালে পাঠিয়ে কী হবে?’
এদিকে, আবরারকে হত্যার খবর শেরেবাংলা হলের অন্য শিক্ষার্থীরা মুখে মুখে জানতে পারলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গেটে পাহারা বসানোর কারণে ঘটনাস্থল ‘হাজার ব্লকে’ আসতে পারছিল না। প্রসঙ্গত ওই হলে দুটি ব্লক। শতকের ঘরের ব্লকটিকে ‘‘শ’ ব্লক বা শতক ব্লক’’ এবং হাজারের ঘরের কক্ষগুলোকে ‘হাজার ব্লক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ১৭তম ব্যাচের যারা হাজার ব্লকে ছিলেন তারাই কেবল আবরারের নিথর দেহ দেখতে পান। সেখানে উপস্থিত শিক্ষকরাও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলছিলেন না। তবে একাধিক শিক্ষক আকার ইঙ্গিতে আবরারের শরীরে নির্যাতনের চিহ্নগুলোর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘এরপর হাজার ব্লকের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রুমে রুমে গিয়ে তারা সবাইকে সজাগ করে। তবে তারপরও সবাই ছাত্রলীগের ভয়ে নিহত আবরারের পাশে আসছিলেন না। তারা যখন রুমে রুমে যাচ্ছিলেন তখন ছাত্রলীগের নেতারা তাদের নজরদারি করে। ছাত্রলীগকর্মী মুয়াজ ও তোয়া এসময় তাদের (সাধারণ শিক্ষার্থীদের) বলে, ‘আমাদের নাম প্রভোস্টকে বলবি না। আমরা নিরাপরাধ। কারো নাম বলবি না।’’
হাজার ব্লকের শিক্ষার্থীদের সবাইকে খবর দেওয়ার পর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবরারের ১০১১ নম্বর কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। দরজা বন্ধ করে দায়িত্বরত শিক্ষকরা যখন ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে জোর করে সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল প্রবেশ করেন। প্রভোস্ট জাফর ইকবাল তাকে বের হতে বললে সে বলে, ‘আমরা কি এখানে থাকতে পারি না?’ সে তর্ক জুড়ে দেয়। এরপর জোর করে সেখানে থাকে সে। ফলে বাধ্য হয়ে সব শিক্ষার্থী বের হয়ে যায়।
আবরারের লাশ পড়ে ছিল সিঁড়িতে একটি তোষকের ওপর
আবরারের লাশ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল সেটি প্রথম দেখেছিলেন আহনাব নামে ১৭ তম ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক রাত পর্যন্ত পড়ছিলাম। রাত ২ টার দিকে আমি পানি আনার জন্য বোতল নিয়ে বের হই। সিঁড়ি দিয়ে নামতেই দেখি দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তোষকের ওপর আবরারের নিথর দেহ পড়ে আছে। আমি দ্রুত রুমে চলে যাই। আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। এরপর আবার আসি। তখন দেখি কেউ তাকে স্ট্রেচারে তুলে রেখেছে।’
আবরারের ভাইকে প্রথম ফোন দিয়ে জানানো হয়
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। তাই মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে সহপাঠীদের কেউ ফোন দিতে পারছিল না। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে পড়াতো দিগন্ত নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফাইয়াজকে ফোন দেওয়া হয়। ফাইয়াজ কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে। এভাবে তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে।
একযোগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা জানান দেয় ১৭তম ব্যাচ
আবরার হত্যার পর শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কেউ কাউকে খবর দিতে পারছিল না। ভয়ের কারণ, যদি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেখে ফেলে। এজন্য ১৭তম ব্যাচের কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি মেসেজ লেখেন। একই সময় সেই টেক্সটটি বুয়েটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সব ক’টি পেজ ও গ্রুপে তারা পোস্ট করেন। এরপর সবাই ধীরে ধীরে ঘটনাটি জানতে পারে।
শিক্ষকরাও ছিলেন আতঙ্কিত
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ‘আবরারকে হত্যা করে যখন তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল, সেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, চিকিৎসক ডাক্তার মাসুক এলাহী এবং ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান। তাদের ঘিরে রেখেছিল খুনের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তখন সেখানে উপস্থিত একজন শিক্ষক বলেন, ‘কোনটা স্বাভাবিক ও কোনটা অস্বাভাবিক মৃত্যু সেটা আমরা বুঝি।’ তবে ছাত্রলীগের এসব নেতাদের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত থাকায় আর কোনও বিষয়ে কাউকে কোনও জেরা করেননি শিক্ষকরা । বরং তারাও আতঙ্কিত ছিলেন। ঘটনার কারণও কারও কাছ থেকে জানতে চাননি শিক্ষকরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যাররা, ছাত্রলীগের এসব নেতার আচরণের কারণে আর কথা বলেননি। কারণ, ওরা সবাই ড্রাংক ছিল।’
পুলিশ এসেছিল ‘শিবিরকর্মী’ আটক করতে
আবরার যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন তাকে প্রথমে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চায় ছাত্রলীগের এসব নেতা। এজন্য ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা চকবাজার থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে খবর দিয়ে বলে, ‘এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ খবর পেয়ে চকবাজার থানা থেকে টহল পুলিশের একটি দলকে শেরেবাংলা হলে পাঠানো হয়। এই হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারা শিবিরকর্মী কোথায় জানতে চান। তবে ছাত্রলীগ তাদের পরে আর হলে ঢুকতে দেয়নি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে শিবির ধরা হয়েছে বলে ফোন দেয়। তবে আমাদের টহল পুলিশকে তারা হলে ঢুকতে দেয়নি।’
পুলিশের বক্তব্য
ডিএমডির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিরা গ্রেফতার হয়েছে। দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)
পাঠকের মতামত:

- পুশ ইন করতে হলে হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান: নাহিদ
- এনসিপির জুলাই প্রদর্শনী চলার মধ্যে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ
- বনানীর হোটেলে নারীদের ওপর হামলায় অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
- নির্বাচনের আগে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নে বিএনপির উদ্বেগ
- আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- যেকোনো ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে: ডা. সায়েদুর রহমান
- বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- রাজনৈতিক সংকটের অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
- ডাবল সেঞ্চুরিতে যত রেকর্ড গড়লেন গিল
- শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
- গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প
- পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩
- ওয়ালটন ডিজি-টেককে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল কম্পিউটারস-এর চুক্তি
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার প্রদান
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও ‘শহীদ দিবস’ পালন বাধ্যতামূলক
- গণঅভ্যুত্থান শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়: হাসনাত
- জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয়: মাহফুজ আলম
- গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর
- পুরনো সিস্টেম ও দখলদারিত্ব ফিরে আসার চেষ্টা চলছে: নাহিদ
- ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন খসড়া পর্যায়ে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ
- গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫
- আল হিলালের কাছে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ম্যানসিটির
- শান্তর ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক মিরাজ
- সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করলো সরকার
- আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না: ফারুকী
- আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন : রুবিওকে ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ সরাসরি সম্প্রচার
- আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
- ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা
- ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালিত
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
- আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা
- বিএসইসি-অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে সমন্বিত সভা
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে ইসি
- "শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে"
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- মোট রিজার্ভের নতুন মাইলফলক, অতিক্রম করলো ৩১ বিলিয়ন ডলার
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- এইচএসসি দ্বিতীয় পরীক্ষা আজ : সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
- করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এক, আক্রান্ত ১০
- বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- "সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশে স্বৈরাচারের উৎপত্তি হবে না"
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- মোট রিজার্ভের নতুন মাইলফলক, অতিক্রম করলো ৩১ বিলিয়ন ডলার
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
- ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে ইসি
- বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ
- ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা
- আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন : রুবিওকে ড. ইউনূস
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস - এর সব খবর
