আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার পর তার কক্ষে মাদক রেখে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। এমনকি এই নাটক সাজানোর জন্য রাতে পুলিশ ডেকেও তাদের গাড়ি হল চত্বরে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ। তবে আবরারের সহপাঠীদের পাহারা এবং পরবর্তীতে শিক্ষকদের তৎপরতার কারণে তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
যেভাবে ডেকে নেওয়া হয় আবরারকে
৬ অক্টোবর রাত ৮ টা। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন বুয়েটের ১৭ তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এহতেশামুল রাব্বি তানিম ওই কক্ষে আসে। তারা এসে আবরার ফাহাদকে খুঁজতে থাকে। এসময় কক্ষে আবরারের বন্ধু ও রুমমেট অন্তিম পড়ছিলেন। আবরারকে তারা ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। ঘুম থেকে উঠে আবরার বিছানায় বসে। আবরারের পরনে ছিল কালো ট্রাউজার ও নিজের বিভাগের পিকনিকের সময়ে দেওয়া কালো টি-শার্ট। আবরার ঘুম থেকে উঠলে জেমি তাকে বলে, ‘ভাইরা তোকে ২০১১ নম্বর রুমে ডাকে। তোর মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে চল্।’ এসময় কক্ষের সামনে ছিল ১৭ তম ব্যাচের মুয়াজ, সাইফুলসহ আরও ৫/৬ জন। আবরারকে নিয়ে তারা সবাই ২০১১ নম্বর কক্ষে যায়। আবরারকে কক্ষ থেকে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার অপর দুই রুমমেট ১৬তম ব্যাচের মিজান ও ১৭ তম ব্যাচের রাফি রুমে আসে। তাদের রুমে রেখে অন্তিম পলাশীতে কফি খেতে চলে যান।
অন্তিম বলেন, ‘আবরারের সঙ্গে আমার ওটাই শেষ দেখা ছিল। আমাদের পরীক্ষা থাকায় রাত জেগে পড়তে হয়। তাই সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে আবরার রাতে পড়তে চেয়েছিল। আমাকে ঘুমানোর আগে বলেছিল, ‘৯ টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিস।’ এটাই আবরারের সঙ্গে আমার শেষ কথা।
আবরারকে নির্যাতনের পর রুম থেকে তার আরেক সেট পোশাক নিয়ে যায় ছাত্রলীগকর্মী জেমি
আবরারকে একদফা মারধরের পর রাত ১০ টার দিকে তার রুমে (কক্ষে) জামা কাপড় নিতে এসেছিল ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি। অন্তিম পলাশী থেকে কফি খেয়ে এসে দেখেন কক্ষটি তালা দেওয়া। অপর দুই রুমমেট রাফি ও মিজান ওইসময় কক্ষে ছিলেন না। তিনি চাবি নিয়ে বের না হওয়ায় অন্য দুজনের জন্য পাশের ২০১০ নম্বর কক্ষে বসে অপেক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর মিজান ও রাফি কক্ষে এলে তারা তিনজন কক্ষে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ১০টার দিকে ফের জেমি ওই কক্ষে এসে আবরারের জামা কাপড় চায়। তারা বুঝতে পারেন, আবরার র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। একই ব্যাচের হলেও জেমি ছাত্রলীগ নেতা, সে আবরারের পরিধেয় গ্রামীণ চেকের একটি শার্ট ও একটি ট্রাউজার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবরারের লাশের গায়ে গ্রামীণ চেকের সেই শার্টটি দেখা যায়। সেটিও ছেঁড়া ছিল। জেমি যখন জামা কাপড় নিতে আসে, তখন তার রুমমেটরা আবরারের খবর জানতে চায়। জেমি তাদের জানায়, ‘আবরার ঠিক আছে।’
আবরারের রুমমেট অন্তিম বলেন, ‘‘এভাবে অনেককেই তারা বিভিন্ন সময়ে ডেকে নিয়ে ‘টর্চার’ করে ছেড়ে দিতো। খারাপ লাগলেও সাধারণ ছাত্রদের কিছুই করার ছিল না। আমরা ভাবছি, হয়তো এখন আবরারকে ছেড়ে দেবে। তাকে হয়তো রেস্টে থাকতে দিয়েছে। আমি যখন খেতে যাই তখন একবার তানিমকে নিচে দেখি। তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল। তাছাড়া জেমি আমাদের সহপাঠী, সে আবরারকে মেরে ফেলবে, এটা বুঝতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমি, মিজান ভাই (১৬ তম ব্যাচ), রাফি যখন রুমে আসি তখন আমাদের রুমে ব্যাচমেট ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাইফুল আসে। তার মুখ শুকনা দেখায়। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম আবরারের কী অবস্থা? সে বললো ঠিক আছে। আমরা তাই আর কিছু সন্দেহ করিনি।’
হত্যাকাণ্ডকে মাদক দিয়ে গণপিটুনির নাটক সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু না পাওয়ার পর তার কক্ষে মাদক রেখে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বুয়েট ছাত্রলীগের এসব নেতা-কর্মী। তবে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বিষয়টি আবরারের কক্ষের অন্য সহপাঠীদের জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জেনে ওই নেতাদের চাতুরি ঠেকাতে ১০১১ নম্বর কক্ষটির দরজা জানালা সব বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ওই কক্ষের পাশের একটি কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) চেয়েছিল ১০১১ কক্ষে মাদক রাখবে। আমরা পরে কক্ষটি পাহারা দেই। সবাই ঘুম থেকে ওঠার পর ছাত্রলীগ ধীরে ধীরে গা ঢাকা দেয়। তারপরও আবরারের কক্ষ আমরা পাহারা দেই।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের (পুলিশকে) খবর দিয়েও পরবর্তীতে তারা আর হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা বলছিল, ‘শিবির ধরা পড়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ কিন্তু, থানা পুলিশ গেলে তাদের হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা লাশ অনেকক্ষণ আটকে রেখেছিল। পরে শিক্ষকরা আসার পর আমরা লাশ ঢামেক হাসপাতালে পাঠাতে সক্ষম হই।’
শেরেবাংলা হলে আবরারের লাশের পাশে রাতে যাদের দেখা গেছে
রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তিতুমীর হলে খেতে যান অন্তিম। ৩টার দিকে হলের গেটে প্রবেশ করেই দেখতে পান স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ। সারা শরীরে দাগ। লাশের পাশে তার রুমমেট মিজান ও রাফি কান্না করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্ট্রেচারে থাকা আবরারের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, মুয়াজ, মেকানিক্যাল ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গেটে পাহারা বসায় যাতে হলের কেউ বের হয়ে প্রতিবাদ না করতে পারে। অপরদিকে, হল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বুয়েটের ডাক্তার মাসুক এলাহী, প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, সহকারী প্রভোস্ট ড. ইফতেখার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মিজানুর রহমান স্ট্রেচারের পাশে ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী ওই সময়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (পরে স্থায়ী বহিষ্কৃত) মেহেদী হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বর্ণনা দিয়েছেন। স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ পড়ে থাকা অবস্থায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ডাক্তার মাসুক এলাহীকে বলেন, ‘ওকে (আবরার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।’ ডাক্তার তার জবাবে বলেন, ‘ও, ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে মারা গেছে। ওকে হাসপাতালে পাঠিয়ে কী হবে?’
এদিকে, আবরারকে হত্যার খবর শেরেবাংলা হলের অন্য শিক্ষার্থীরা মুখে মুখে জানতে পারলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গেটে পাহারা বসানোর কারণে ঘটনাস্থল ‘হাজার ব্লকে’ আসতে পারছিল না। প্রসঙ্গত ওই হলে দুটি ব্লক। শতকের ঘরের ব্লকটিকে ‘‘শ’ ব্লক বা শতক ব্লক’’ এবং হাজারের ঘরের কক্ষগুলোকে ‘হাজার ব্লক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ১৭তম ব্যাচের যারা হাজার ব্লকে ছিলেন তারাই কেবল আবরারের নিথর দেহ দেখতে পান। সেখানে উপস্থিত শিক্ষকরাও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলছিলেন না। তবে একাধিক শিক্ষক আকার ইঙ্গিতে আবরারের শরীরে নির্যাতনের চিহ্নগুলোর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘এরপর হাজার ব্লকের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রুমে রুমে গিয়ে তারা সবাইকে সজাগ করে। তবে তারপরও সবাই ছাত্রলীগের ভয়ে নিহত আবরারের পাশে আসছিলেন না। তারা যখন রুমে রুমে যাচ্ছিলেন তখন ছাত্রলীগের নেতারা তাদের নজরদারি করে। ছাত্রলীগকর্মী মুয়াজ ও তোয়া এসময় তাদের (সাধারণ শিক্ষার্থীদের) বলে, ‘আমাদের নাম প্রভোস্টকে বলবি না। আমরা নিরাপরাধ। কারো নাম বলবি না।’’
হাজার ব্লকের শিক্ষার্থীদের সবাইকে খবর দেওয়ার পর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবরারের ১০১১ নম্বর কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। দরজা বন্ধ করে দায়িত্বরত শিক্ষকরা যখন ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে জোর করে সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল প্রবেশ করেন। প্রভোস্ট জাফর ইকবাল তাকে বের হতে বললে সে বলে, ‘আমরা কি এখানে থাকতে পারি না?’ সে তর্ক জুড়ে দেয়। এরপর জোর করে সেখানে থাকে সে। ফলে বাধ্য হয়ে সব শিক্ষার্থী বের হয়ে যায়।
আবরারের লাশ পড়ে ছিল সিঁড়িতে একটি তোষকের ওপর
আবরারের লাশ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল সেটি প্রথম দেখেছিলেন আহনাব নামে ১৭ তম ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক রাত পর্যন্ত পড়ছিলাম। রাত ২ টার দিকে আমি পানি আনার জন্য বোতল নিয়ে বের হই। সিঁড়ি দিয়ে নামতেই দেখি দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তোষকের ওপর আবরারের নিথর দেহ পড়ে আছে। আমি দ্রুত রুমে চলে যাই। আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। এরপর আবার আসি। তখন দেখি কেউ তাকে স্ট্রেচারে তুলে রেখেছে।’
আবরারের ভাইকে প্রথম ফোন দিয়ে জানানো হয়
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। তাই মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে সহপাঠীদের কেউ ফোন দিতে পারছিল না। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে পড়াতো দিগন্ত নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফাইয়াজকে ফোন দেওয়া হয়। ফাইয়াজ কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে। এভাবে তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে।
একযোগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা জানান দেয় ১৭তম ব্যাচ
আবরার হত্যার পর শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কেউ কাউকে খবর দিতে পারছিল না। ভয়ের কারণ, যদি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেখে ফেলে। এজন্য ১৭তম ব্যাচের কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি মেসেজ লেখেন। একই সময় সেই টেক্সটটি বুয়েটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সব ক’টি পেজ ও গ্রুপে তারা পোস্ট করেন। এরপর সবাই ধীরে ধীরে ঘটনাটি জানতে পারে।
শিক্ষকরাও ছিলেন আতঙ্কিত
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ‘আবরারকে হত্যা করে যখন তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল, সেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, চিকিৎসক ডাক্তার মাসুক এলাহী এবং ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান। তাদের ঘিরে রেখেছিল খুনের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তখন সেখানে উপস্থিত একজন শিক্ষক বলেন, ‘কোনটা স্বাভাবিক ও কোনটা অস্বাভাবিক মৃত্যু সেটা আমরা বুঝি।’ তবে ছাত্রলীগের এসব নেতাদের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত থাকায় আর কোনও বিষয়ে কাউকে কোনও জেরা করেননি শিক্ষকরা । বরং তারাও আতঙ্কিত ছিলেন। ঘটনার কারণও কারও কাছ থেকে জানতে চাননি শিক্ষকরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যাররা, ছাত্রলীগের এসব নেতার আচরণের কারণে আর কথা বলেননি। কারণ, ওরা সবাই ড্রাংক ছিল।’
পুলিশ এসেছিল ‘শিবিরকর্মী’ আটক করতে
আবরার যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন তাকে প্রথমে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চায় ছাত্রলীগের এসব নেতা। এজন্য ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা চকবাজার থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে খবর দিয়ে বলে, ‘এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ খবর পেয়ে চকবাজার থানা থেকে টহল পুলিশের একটি দলকে শেরেবাংলা হলে পাঠানো হয়। এই হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারা শিবিরকর্মী কোথায় জানতে চান। তবে ছাত্রলীগ তাদের পরে আর হলে ঢুকতে দেয়নি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে শিবির ধরা হয়েছে বলে ফোন দেয়। তবে আমাদের টহল পুলিশকে তারা হলে ঢুকতে দেয়নি।’
পুলিশের বক্তব্য
ডিএমডির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিরা গ্রেফতার হয়েছে। দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- বিএসএফের গুলিতে নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর
- যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
- ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- দায়িত্ব নিয়েই ভিসি বললেন, দুর্নীতি করবো না
- একনেকে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
- বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন নিপীড়নের শিকার: মির্জা ফখরুল
- "এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে"
- ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টার ফ্রিজ পেলেন আসাদুজ্জামান
- আমার সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: মেসি
- আজ থেকে ৫ স্থানে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ পাওয়া যাবে
- ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
- রেকর্ডের ম্যাচে মুম্বাইকে হারালো হায়দরাবাদ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫০০ জনে
- ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর
- ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, দেখা যাবে যেভাবে
- ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই থাকবেন খালেদা জিয়া
- আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম: যুক্তরাষ্ট্র
- শাহজালাল বিমানবন্দরে অর্থ পাচার: ব্যাংক কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ
- বিদায়টা সুখকর হলো না বিএসএমএমইউ উপাচার্যের
- ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত বৃহস্পতিবার
- ব্যারিস্টার খোকনকে বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণে বারণ
- উপজেলা নির্বাচনে ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে
- বিএনপির নেতাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন: প্রধানমন্ত্রী
- দেশ ও রাষ্ট্রকে গিলে ফেলেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
- ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লো
- সূচক ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে
- বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে রিজভীর কোনো ধারণা নেই: আব্দুর রাজ্জাক
- আলমডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্জাক খান রাজের ইফতার মাহফিল
- মিনিস্টার গ্রুপ এবং ফরাজী হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- সিএসইর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক রেজওয়ানুল হক খান
- এডিএন টেলিকমের উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
- সিঙ্গারের গৃহস্থালী সামগ্রী প্ল্যান্টের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের অনুমতি
- সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে এস্কয়ার নিটের সংশোধনী
- ব্র্যাক ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২ এপ্রিল
- লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭
- "মানুষকে সহযোগিতা করতে পারলে বকা শুনতে আমি রাজি"
- সিরিজের কোন ম্যাচেই একশ করতে পারলোনা বাংলাদেশ
- ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- ঈদের ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
- মেট্রোরেল চলাচলের সময় রাতে ১ ঘণ্টা বাড়লো
- ১৫ দিনেও মুক্তি মিলেনি জিম্মি নাবিকদের
- গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা 'অনেক বেশি': যুক্তরাষ্ট্র
- ঈদের আগেই সকল শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- স্বাধীনতা দিবসে সীমান্তে গুলি করে হত্যার পরেও সরকার নিশ্চুপ: মির্জা ফখরুল
- "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে"
- স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার দিতে বিএসইসির প্রাক-মূল্যায়ন কমিটি
- ভুটানের চিকিৎসকদের ট্রেনিং দিবে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- লিটনকে না খেলালে ভালো হতো: পাপন
- পুঁজিবাজারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ হাজার ৩৩৩ জনে
- গুগলের ডুডলে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
- স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের রাজা
- আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
- গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: জয়
- "এবার ঈদে রেলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না"
- বিজয় দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
- জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন: কাদের
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি: মঈন খান
- টাইগারদের লজ্জার পরাজয়
- সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ
- উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক: ইসি
- জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- সাংবাদিকের উপর হামলা: দুই ছাত্রলীগ নেতার জামিন
- বুধবার থেকে নতুন নিয়মে চলবে মেট্রোরেল
- বিএনপি বাংলাদেশের পতাকা চায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- "ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার"
- বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই: ওবায়দুল কাদের
- জয়ে আইপিএল শুরু গুজরাটের
- জব্দ হতে পারে ট্রাম্প টাওয়ার
- নাইজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৩ জন সেনা নিহত
- দেশের ৩ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা
- ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম
- ভারতীয় পণ্য বর্জনে করা পাগলামি: ওবায়দুল কাদের
- পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধীতাকে ইস্যু বানাচ্ছে বিএনপি: কাদের
- সাকিবের ৩৭তম জন্মদিন আজ
- সপ্তাহ ব্যবধানে সবজি ও পেঁয়াজের দাম কমেছে
- ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
- সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো ছাত্রলীগ
- বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ, থাকবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ইস্যু
- মস্কো হামলা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
- টিসিবি’র পণ্য তালিকায় কয়েকটি পণ্য যুক্ত হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না: জাতিসংঘ
- রমজানে রান্নার ঝামেলা কমাবে মিনিস্টারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন
- ২২ দিনে রেমিট্যান্স ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা
- ৮শ’ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি ইসরায়েল
- গাজায় ইসরাইলের হামলায় ১৩৬ সাংবাদিক নিহত
- এনএসআইয়ের চাকরির দিতে চেয়েছিলেন সেরেস্তাদার, দুদকের মামলা
- আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি
- সূচকের বড় পতনে দিয়ে লেনদেন শেষ
- সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা
- বিএসএমএমইউতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
- ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন