thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

২০১৯ অক্টোবর ২৩ ১২:২৪:০৬
বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক ও পেশাদার বিমানবাহিনী গঠনে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইর্য়ক, টরেন্টো ও সিডনিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বিমান বাংলাদেশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হবে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলো।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সামরিক কৌশলগত দিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বিমান বাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে ১৯৭৩ সালে সে সময়ের সব থেকে আধুনিক মিগ ২১ সুপারসনিক ফাইটার বিমানসহ পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স, রাডার ইত্যাদি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও জানান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পুনরায় সরকার গঠন করে, তখন আবার আমরা বিমান বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি। এবং সেসময় আমরা চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান মিগ ২৯, ইয়ার ১৩০, আধুনিক পরিবহন সি ১৩০ সহ আরও বেশ কিছু বিমান বাহিনীতে সংযোজন করি।

শেখ হাসিনা জানান, ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করি। তখন আমরা বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রক্ষাণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জনের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিই। আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু এরোনোটিক্যল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিকট ভবিষ্যতে এই সেন্টারে যুদ্ধ বিমানসহ বর্তমানে ব্যবহৃত বেসামরিক বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা রাখি।

এসময় তিনি আরও বলেন, বিগত পৌনে ১১ বছরে বিমান বহরে আমরা বোয়িং কোম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আকাশ পথে স্থাপন করতে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, নিউইয়র্ক, টরেন্টো, সিডনির মতো দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব। এ লক্ষ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ২৩,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর