thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

টি-টুয়েন্টিতে যত বাংলাদেশ-ভারত লড়াই

২০১৯ নভেম্বর ০২ ০৯:৪৫:০৮
টি-টুয়েন্টিতে যত বাংলাদেশ-ভারত লড়াই

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ক্রিকেটের সবথেকে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয়েছে আটবার। প্রত্যেকবারই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাংলাদেশের হার ছিল অপ্রত্যাশিত। জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও পরাজিত হতে হয় টাইগারদের।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১৬ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে শেষ ৩ বলে ২ রান নিতে পারেনা বাংলাদেশ। এছাড়া এশিয়া কাপ ফাইনাল কিংবা নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল- দুই বার শিরোপা জয়ের আশা ভাঙে ভারতের বিপক্ষে।

কাল থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টুয়েন্টি লড়াই। এর আগে চলুন দেখে নেয়া যাক টি-টুয়েন্টিতে এই দুই দলের অতীত ইতিহাস-

২০০৯ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ
দুই দেশের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ জুন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ২৫ রানে জিতেছিল ভারত। ট্রেন্টব্রিজে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৮০ রান। জবাবে ১৫৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন প্রজ্ঞান ওঝা।

২০১৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ
এই ম্যাচে আট উইকেটে জেতে ভারত। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৩৮ রান। এক সময় ২১ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল, শামসুর রহমান ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান এনামুল-মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ে ফেরান।

১৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ানকে দ্রুত হারায় ভারত। তারপর রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ৫৬ করে ফেরেন রোহিত। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি চারে নেমে ১২ বলে ২২ করে জেতান দলকে। ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ১৫ রানে দুই উইকেটের জন্য ম্যাচের সেরা হন অশ্বিন।

২০১৬ এশিয়া কাপ
২০১৬ এশিয়া কাপের ম্যাচে ৪৫ রানে জিতেছিল ভারত। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ৮৩ রানের সুবাদে ভারত ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। ১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত উইকেট খুইয়ে ১২১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। ২৩ রানে তিন উইকেট নেন আশিস নেহরা। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনাল
মিরপুরে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের এই ম্যাচ কমিয়ে আনতে হয়েছিল ১৫ ওভারে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২০ রান। জবাবে ১৩.৫ ওভারে জিতে যায় ভারত (১২২-২)। শিখর ধাওয়ান (৬০), বিরাট কোহালি (অপরাজিত ৪১) রান পান। জয় আসে আট উইকেটে। ম্যাচের সেরা হন ধাওয়ান।

২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে ১ রানে জেতে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৬ তোলে ভারত। সর্বাধিক ৩০ করেন সুরেশ রায়না। রোহিত (১৮), ধাওয়ান (২৩), কোহলি (২৪), হার্দিক (১৫), ধোনি (১৩), যুবরাজ (৩), জাডেজা (১২)— কেউই বড় রান পাননি। মুস্তাফিজুর রহমান নেন দুই উইকেট।

১৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে থামে ১৪৫ রানে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। শেষ তিন বলে দরকার ছিল দুই রানের। কিন্তু মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে যেতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরের বলে আউট মাহমুদুল্লাহ। শেষ বলে মুস্তাফিজুরকে রান আউট করেন ধোনি। ভারত জেতে এক রানে।

২০১৮ ত্রিদেশীয় সিরিজ
শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে ছয় উইকেটে বাংলাদেশকে হারায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ আট উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৯। জয়দেব উনাদকান্ত নেন তিন উইকেট। জবাবে ১৮.৪ ওভারে জিতে যায় ভারত (১৪০-৪)। ধাওয়ান করেন ৫৫।

২০১৮ ত্রিদেশীয় সিরিজ
ত্রিদেশীয় সিরিজেই ফের বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারায় ভারত। প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেটে ১৭৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক রোহিত (৮৯), রায়না (৪৭) রান পান। জবাবে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৯। ২২ রানে তিন উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

২০১৮ ত্রিদেশীয় সিরিজ ফাইনাল
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৬ তুলেছিল বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান ৫০ বলে করেন ৭৭। লেগস্পিনার যুজভেন্দ্র চহাল ১৮ রানে নেন তিন উইকেট। ৩৩ রানে দুই উইকেট নেন উনাদকট। ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২ রানের মধ্যে ধাওয়ান-রায়নাকে হারায় ভারত।

নিয়মিত উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ১২ রান। আর এই পরিস্থিতিতেই পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন দীনেশ কার্তিক। আট বলে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে জেতান তিনি। জয় আসে শেষ বলে। ছয় উইকেটে জেতে ভারত (১৬৮-৪)।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ০২,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর