thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৪ শাওয়াল 1445

স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা!

২০১৯ নভেম্বর ১৯ ১৫:৫৭:১৮
স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা!

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং তার স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বলেও প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে ওই নারী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার একটি অপমৃত্যু মামলা করলেও ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নেয়নি। পরে ভিকটিমের অভিযোগে সোমবার রাতে তিন জনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা নেয় সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ অভিযুক্ত এক জনকে আটক করেছে। জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মামলার আসামিরা হলেন- রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেন (৪০), শাওন (৩৫) মফিজ উদ্দিন (৩০)। শাওনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভিকটিম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। রাত প্রায় ৮টার দিকে তিনি পানি আনতে ঘরের বাইরে গেলে ছানোয়ার, শাওন ও মফিজ তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর তিনজনই তাকে ধর্ষণ করে। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং ছানোয়ারের বাড়িতে আটকে রাখে। ভিকটিমের স্বামীকে ডেকে এনে হত্যার পর বাড়ির পাশে অন্য একটি গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে। শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তারা অপমৃত্যুর মামলা করে। একইসঙ্গে ভিকটিমকে ছানোয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধর্ষণের বিষয়টি বললেও ধর্ষণের মামলা নেয়নি পুলিশ।

সোমবার রাতে ওই গৃহবধূকে নিয়ে জামালপুর প্রেস ক্লাবে হাজির হন তার শ্বশুর। তখন সাংবাদিকদের সহযোগিতায় রাতেই ওই নারীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, ‘ওই নারীর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে নাকি এটি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। সোমবার রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে অভিযুক্ত শাওনকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’ ধর্ষণের ঘটনা শোনার পরও মামলা না নেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, 'ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।'

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের গায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ১৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর