thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

হংকংয়ে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ

২০২০ মার্চ ২৩ ১৭:৫২:৪৪
হংকংয়ে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দু’সপ্তাহের জন্য সবধরনের পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে হংকং। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদেশ থেকে আশা লোকজন করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনের সোমবার হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম জানান, আগামী ২৫ মার্চ (বুধবার) থেকে ১৪ দিন শহরটিতে সবধরনের পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকবে। করোনার মহামারি প্রতিরোধে আরো বিস্তৃত ব্যবস্থা নেয়াসহ কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা অমান্যকারীদের কঠোর সাজার ঘোষণা দেন তিনি।

এদিন হংকংজুড়ে অন্তত ৮ হাজার ৬০০ রেস্টুরেন্ট, বার, ক্লাবসহ মদ বিক্রির লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে আইন সংশোধনেরও কথা জানান ক্যারি লাম।

হংকংয়ে বিদেশফেরত নাগরিকদের প্রবেশের পর অন্তত ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার সরকারি নির্দেশনার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। এরপর থেকেই অঞ্চলটিতে অসংখ্য প্রবাসী ও বিদেশি নাগরিক প্রবেশ করেন, যাদের মধ্যে অনেকের শরীরেই নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। একারণে এবার দু’সপ্তাহের জন্য সবধরনের পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ৬০৩ জন মারা গেছেন। এতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬১৬ জনে। এর মধ্যে চীনে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৬১ জন। চীনের বাইরে মারা গেছেন ১১ হাজার ৩৫৫ জন।

চীন থেকে ১৯০টির বেশি দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮০২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৬৩৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫৪ জন। এ ছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৪ জন। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৬ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ১০ হাজার ৬৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে গোটা ইউরোপে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। টানা এক সপ্তাহ ধরে সেখানে পাঁচশরও বেশি করে মানুষ মারা যাচ্ছেন।

হাসপাতালগুলোর মর্গে লাশ রাখার জায়গা নেই। সেনাবাহিনীর ট্রাকে করে দূর-দূরান্তের করবস্থানে নিয়ে গণহারে মরদেহগুলো মাটিচাপা দেয়া হচ্ছে।

এ মহামারী পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। অধিকাংশ দেশেই রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার ফাঁকা। যেন সব ভুতুড়ে নগরী, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর আশঙ্কা।

ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে। সেখানে প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩মার্চ,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর