thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

করোনার মধ্যে মুখে মাস্ক মাথায় গামছা বেঁধে রাজধানীতে ডাকাতি

২০২০ এপ্রিল ০২ ১৯:৪১:৫২
করোনার মধ্যে মুখে মাস্ক মাথায় গামছা বেঁধে রাজধানীতে ডাকাতি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর রাস্তাঘাট এখন প্রায় ফাঁকা। বিশেষ করে রাতে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। এরই মাঝে ট্রাক নিয়ে ফার্মেসিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে রাজধানী মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকার বিল্লাহ ফার্মায় মাথায় গামছা বাঁধা, মুখে মাস্ক পরা ডাকাত দল হানা দেয়।

ওই ফার্মেসির সামনে ট্রাক থামিয়ে দু’জন চাপাতি ও একজন রড নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। তখন ওষুধ কিনতে এসেছিলেন মো. আরমান নামের এক ক্রেতা। কিছু বোঝার আগেই আরমানকে চাপাতির উল্টা পাশ দিয়ে মারতে শুরু করে ডাকাতরা। ফার্মেসির ভেতরে ছিলেন মালিক নাহিদ বিল্লাহ ও ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ।

হঠাৎ এসেই কাস্টমারকে চাপাতি দিয়ে মারতে শুরু করলে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি নাহিদ বিল্লাহ ও সোহাগ। একসময় আরমান, সোহাগ ও নাহিদকে মারতে মারতে দোকানের পেছনে নিয়ে যায় তারা। আরমানের পকেটের মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ফার্মেসিতে থাকা ল্যাপটপ ও নগদ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই ডাকাতি করে চলে যায় তারা।

দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেতা মো. আরমান রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, আমি ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে আসি। আসার মিনিট খানেকের মধ্যে তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে আমাকে চাপাতির উল্টা পাশ দিয়ে মারতে মারতে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এখনও আমার ভয়ে গা কাঁপছে।

ইউসিবিএল এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ বলেন, ‘দোকান বন্ধ করবেন নাহিদ স্যার। আমি খালি একটি পানির বোতল নিয়ে বের হব। এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢোকে, দু’জনের হাতে চাপাতি একজনের হাতে রড ছিল। সবার মুখে মাস্ক পরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপাতি দিয়ে ক্রেতাকে মারতে থাকে। আমি বললাম কী হয়েছে ভাই থামেন। এ কথা বলতে বলতে আমাদের চাপাতির ভয় দেখিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। অন্য দু’জন ল্যাপটপ ও ক্যাশের টাকা নিয়ে নেয়। গ্লাসের নিচে দৃশ্যমান ১০০ টাকার নোট ছিল সেটাও গ্লাস ভেঙে নিয়ে যায়।’

ফার্মেসির মালিক নাহিদ বিল্লাহ বলেন, আমি বাসায় চলে যাব। দোকান ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছি। এর মধ্যে একজন ওষুধ নিতে আসল। আমি ওষুধ দিব, এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে কাস্টমারকে চাপাতি দিয়ে মারতে শুরু করে। একজন আমার ল্যাপটপ নিয়ে নিল। কাস্টমারকে যখন মারছে, তখন আমি হাত উঁচু করে বললাম, কী হইছে মারছেন কেন। এ কথা বলতে বলতে আমাদের বলল, কথা বলবি না আর চাপাতি দিয়ে মারতে যাচ্ছে। এমন করতে করতে আমাদের দোকানের পেছনে নিয়ে গেল। ক্যাশে থাকা টাকা ও ল্যাপটপ নিয়ে গেল। আমরা দৌড়ে বের হলাম কিন্তু ততক্ষণে ট্রাক চলে গেছে। হোন্ডা নিয়ে শ্যামলী পুলিশ বক্স পর্যন্ত গেলাম পেলাম না। আমি মনে করেছিলাম, আমার মোবাইলও নিয়ে গেছে কিন্তু এসে দেখি মোবাইল টেবিলের নিচে পড়ে আছে। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও র‍্যাব-২ এর একটি টহল দল আসে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমাদের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছেন। আশা করছি অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২এপ্রিল,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর