thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

মায়ের পাশেই শায়িত হবেন এন্ড্রু কিশোর

২০২০ জুলাই ০৭ ০৯:৪৩:৪৩
মায়ের পাশেই শায়িত হবেন এন্ড্রু কিশোর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: না ফেরার দেশে চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্লে-ব্যাক সম্রাট। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এন্ড্রু কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর বলে গিয়েছেন তাকে যেন মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছানুযায়ী মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে। তবে কখন তাকে সমাহিত করা হবে সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি।

এন্ড্রু কিশোরের বন্ধু রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস গণমাধ্যমকে জানান, এন্ড্রু কিশোরের বাবার নাম ক্ষিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মায়ের নাম মিনু বাড়ই। এন্ড্রু কিশোর সংসার জীবনে স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু এবং সংজ্ঞা (২৬) নামে এক মেয়ে ও সপ্তক (২৪) নামে এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। তারা দুজনই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করছেন। সংজ্ঞার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তারা দেশের পথে রয়েছে। মূলত তারা ফিরলেই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। তাও প্রায় কমপক্ষে তিনদিনের আগে নয়।

একই সঙ্গে তাকে কোথায় সমাহিত করা হবে সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। যা পরে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দেয়া হবে। সেই পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিম ঘরে রাখা হবে। রাতেই তার মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান প্রফেসর দীপকেন্দ্র নাথ।

এন্ড্রু কিশোরের বোন জামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিলেও ক্যানসার দূর হয়নি। চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাই এন্ড্রু কিশোরের ইচ্ছায় তাকে দেশে আনা হয়। এরপর থেকে বোনের বাসায় ছিলেন।

৯ মাস পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এন্ড্রু কিশোর ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর ঢাকার বাসায় বেশকিছু দিন অবস্থান করে শরীরের অবস্থা বিবেচনায় ও কোলাহলমুক্ত থাকতে তিনি গ্রামের বাড়ি রাজশাহী চলে যান। গেলো বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যানসারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর।

১৯৭৭ সালে মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মাধ্যমে তার প্লেব্যাক যাত্রা শুরু। যদিও ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রতিজ্ঞা সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্লেব্যাক করে। পেয়েছেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭জুলাই, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর