thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1445

সাহেদ-সাবরিনাসহ রিজেন্ট ও জেকেজির ব্যাংক হিসাব জব্দ

২০২০ জুলাই ১৩ ১০:০৫:৪৮
সাহেদ-সাবরিনাসহ রিজেন্ট ও জেকেজির ব্যাংক হিসাব জব্দ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং জেকেজি হেলথ কেয়ার ও এর চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

একই সঙ্গে তাদের হিসাবের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

এছাড়া সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিএফও) আরিফুল হক চৌধুরী এবং সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট কে সি লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও তথ্য চেয়েছে এনবিআর।

রোববার (১২ জুলাই) এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। মামলা হলেও মো. সাহেদ এখনো পলাতক। এছাড়া, নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।

সিআইসি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় আলোচ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একক ও যৌথ নামে থাকা সব ধরণের ব্যাংক হিসাবে থাকা লেনদেন অপ্রচলযোগ্য (ফ্রিজ) করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের গত পাঁচ বছরের তথ্য, কর ফাইলে দেখানো তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। এর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা গেলে বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, জেকেজি (জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার) এবং রিজেন্ট হাসপাতাল দুটি নাম বর্তমানে আলোচিত। অবিশ্বাস্য জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তারা মানুষের কাছে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার কাছে জেকেজির মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতারণা যদিও নস্যি।

তারপরও তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, জেকেজির ২৭ হাজার রিপোর্টের প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার রিপোর্টই ভুয়া। পুলিশ জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে মোট ২৭ হাজার করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে। সঠিক এই রিপোর্টগুলো ছাড়া বাকি ১৫ হাজার ৪৬০টি রিপোর্টই ভুয়া।

টাকা নিয়ে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপে বানানো সনদ। অথচ এই রিপোর্টগুলোর জন্য তারা জনপ্রতি ৫-১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। আর রিজেন্ট হাসপাতালও একইভাবে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিতো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩জুলাই, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর