thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সময়সীমা বূদ্ধির দাবি সিএসইর

২০২১ জুন ০৬ ১৩:৩৮:৫৬
অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সময়সীমা বূদ্ধির দাবি সিএসইর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের স্বার্থেই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ । ২০২১-২০২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে এ দাবির বাস্তবায়নসহ আরও ৭ দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি ।প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানিয়েছে সিএসই।

বিজ্ঞপ্তিতে সিএসই বলেছে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য ১০% কর পরিশোধ করে শেয়ারবাজারে অপ্রদশিত অর্থ বিনিয়োগের সময়সীমা এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু ঘোষিত বাজেটে সময়সীমা বাড়ানো হয়নি। তাই বিদ্যমান আইনের এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে সিএসই।

এ দাবি ছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও ৭ দাবির বাস্তবায়ন দাবি করেছে সিএসই -

১। স্টক এক্সচেঞ্জ এর সদস্যদের লেনদেনের উপর বিদ্যমান উৎস কর ০.০৫% থেকে ০.০১৫% নামিয়ে আনা।

২। তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের বিদ্যমান করহার ২৫% থেকে ২০% এ কমিয়ে আনা। এতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি পাবে। ফলে মৌল ভিত্তি সম্পন্ন দেশি, বিদেশী এবং বহুজাতিক কোম্পানিসমুহ তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে।

৩। জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরত্তপূর্ণ অংশীদার হিসেবে এক্সচেঞ্জসমুহের প্রযোজ্য কর্পোরেট করহার ১৫% নির্ধারণ করা ।

৪। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিসমূহের শেয়ার বিক্রির কথা বিভিন্ন সময়ে বলা হলেও ঘোষিত বাজেটে এর কোন পরিকল্পনা পরিলক্ষিত হয়নি। অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ার অফ লোড করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিসমূহ শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা।

৫। বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এসএমই বোর্ডের মাধ্যমে স্বল্প মুলধনী কোম্পানিসমূহকে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করছে। এটাকে বাস্তবায়নে তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিসমূহের জন্য ১০% হারে ৫ বছরের জন্য কর নির্ধারণ করা।

৬। বর্তমানে শুধুমাত্র জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে করমুক্ত। দেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার প্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি অতি জারুরি। এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে পারে। সে কারনে নতুনভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সকল প্রকার বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়কে করমুক্ত করা প্রয়োজন এবং জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্ত সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ সকল করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

৭। লভ্যাংশ প্রদানের সময় কোম্পানি তার মুনাফার উপর কর প্রদান করে এবং লভ্যাংশ বিতরণের সময় কর কর্তনের ফলে দ্বৈত করের সৃষ্টি হয়। লভ্যাংশ আয়ের উপর এই দ্বৈত করনীতি পরিহার করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা দরকার।

দ্য রিপোর্ট/এএস/৬জুন ২০২১

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর