thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

গিনেস বুকে ঠাঁই পেল সৈয়দপুরের শিক্ষার্থী নাফিস

২০২২ জানুয়ারি ২৪ ১১:০৩:৫৫
গিনেস বুকে ঠাঁই পেল সৈয়দপুরের শিক্ষার্থী নাফিস

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নীলফামারীর সৈয়দপুরের ছেলে এবার গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে নাম লেখালেন নাফিস ইসতে তৌফিক ওরফে অন্ত। দ্রুততম সময়ে ১০টি মাস্ক পরে ও হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খাওয়ায় ২০২১ সালের গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়েছে।

সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। উপজেলার পরিষদের সন্নিকট ওই স্কুলের পাশে নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর পিতা ইউনুস আলী একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন ও মাতা নাছমুন নাহার দম্পতির বড় সন্তান।

সূত্র মতে, মহামারী করোনায় ১ম ও ২য় ধাপে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে অন্তর। প্রথমে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে দীর্ঘ চেইন বানিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে চেয়েছিল। কাজটি শুরুও করেছিল সে। কিন্তু করোনাকালে নানা প্রতিকূলতার কারণে উপকরণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয় নাফিস ওরফে অন্ত। পরে দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্স ছাড়াই কলা খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে সে।

জানা যায়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ডে আবেদন করলে ৪ মে গিনেস কর্তৃপক্ষ অন্তর আবেদন গ্রহণ করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক দ্রুততম পরিধানের অনুমতি দেয়। অবশেষে দুইমাস কঠোর পরিশ্রমের ফলে গত ১৪ জুলাই সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি মাস্ক পরে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ে অন্ত। ৬ নভেম্বর রাতে গিনেস ওয়ার্ল্ডের বার্তা এসেছে অন্তুর সফলতার। একই তারিখে হাতের ব্যবহার ছাড়াই মুখ দিয়ে ছিলে একটি কলা খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭.৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙেছে ৩০.৭ সেকেন্ডে। এর ফল স্বরুপ অন্তু ১৯ ডিসেম্বর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়াল্ডের দুটি সনদপত্র। অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আনন্দিত অন্তর পরিবার ও বিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ শিক্ষকমণ্ডলী।

অন্ত জানায়, ছোট্ট থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলার আগ্রহ তার। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সে বিভিন্ন ডিভাইস ও যন্ত্রপাতি কেনে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে সারাক্ষণ বন্দি থাকতে হয়েছে তাকে। স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে দীর্ঘ চেইন বানিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে উপকরণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয় নাফিস। অন্তুর ইচ্ছে বড় হয়ে সে একজন প্রকৌশলী হবে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) নাফিসের বাবা ইউনুস আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার ছেলে এত বিশাল সাফল্য বয়ে আনবে। তার মা নাজমুন নাহার বলেন, নাফিস সারাক্ষণ যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলাধুলা করে। সে ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়। অথচ ব্যতিক্রম দুটি বিষয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে তা ভেবে অবাক হচ্ছি। তিনি ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২১ সালে আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নাফিস গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। যা আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কেবল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া নয়, ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হবে আমাদের নাফিস। নাফিসের কৃতিত্বের ছবি প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শনী বোর্ডে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪ জানুয়ারি, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর