রিজার্ভ নিয়ে কতটা সংকটে বাংলাদেশ ?

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপদজনক মাত্রায় চলে গেছে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। তারা বলছেন, এখন রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসায় তা দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।
তবে সরকার এই পরিস্থিতিকে এখনও আশঙ্কাজনক মনে করছে না। যদিও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং করাসহ সাশ্রয়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে জ্বলানি আমদানির খরচ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। এ নিয়ে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত কাদির কল্লোলের প্রতিবেদনটি দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্যও প্রচার করা হলো।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলারের নীচে নেমে এসেছে।
এক বছর আগেই অর্থ্যাৎ গত বছরের জুলাই মাসেই সব রেকর্ড ভেঙে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ হয়েছিল।
রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদে চাপ বাড়ছিল।
সর্বশেষ কয়েকদিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয়েছে এবং সেকারণে রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সদস্য।এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর এই আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া তথ্যে এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এই পরিমাণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিমাণ আরও কম। অন্যতম একজন অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড: দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ যা বলা হচ্ছে, সেটাও দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদ সংকেত।
"এমুহুর্তে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার যে মজুদ আছে, তা তিন মাসের আমদানি মূল্যেরও কম হয়ে যায়। নি:সন্দেহে অর্থনীতির জন্য এই পরিমাণ মজুদ একটা বিপদ সংকেত দেয়।"
কী পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে ?
এখনই বিপদের ঝুঁকিতে পড়ছে, এমন কয়েকটি খাতও উল্লেখ করেন ড: ভট্টাচার্য।
তিনি মনে করেন, রিজার্ভ কমে যাওয়ায় প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে।
একইসাথে এটি টাকার বিনিময় মূল্যকেও দূর্বল করে দিচ্ছে। এর ফলে, অনেক ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হবে।
ড: ভট্টাচার্য এটাও উল্লেখ করেন যে, এখনকার পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়ানো এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর উৎসাহ বাড়াতে কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কিন্তু তার ধারণা, সামগ্রিক বিচারে এটি নি:সন্দেহে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা দূর্বল করবে। এছাড়া বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারাকেও শ্লথ করে দেয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইতিমধ্যেই নানামুখী প্রভাব পড়ছে আমদানির ক্ষেত্রে।
সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে। তবে কয়েকমাস ধরে ডলার সঙ্কটের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও সমস্যায় পড়ছেন আমদানিকারকরা।
এমনকি বেসরকারি খাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি এবং সরকারিভাবে বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানিতেও অনেক ব্যাংক ঋণপত্র বা এলসি খুলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকগুলো ডলারের অস্থির বাজারের কথা বলছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সেখানকার অন্যতম একজন আমদানিকারক ড: মুণাল মাহমুদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা কমবে না।
"আমদানি খাতে চাপ তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে সবকিছুর দাম বাড়তি থাকবে।"
ড: মুণাল মাহমুদ তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, "আগে আমদানির এলসি খুলতে সমস্যা হতো না। এখন অনেক পণ্য আমদানির শুল্ক শতভাগ করে দিয়ে এলসি নিরুৎসাহিত করছে।"
"ফলে শতভাগ শুল্ক দিয়ে কোন পণ্য আনা সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যাপারেও এখন ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না," বলেন তিনি।
'জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়'
ফলে, কয়েকমাস ধরে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এবং এখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডলার সংকট এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন।
সরকার কী বলছে
তবে এখন ডলারের রিজার্ভ যা আছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এখনকার রিজার্ভ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না।
"আমাদের কাছে এখন যে রিজার্ভ আছে, সেটা তিন মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। এখন আমরা বিলাসী সব পণ্য আমদানির শুল্ক বাড়িয়েছি। আশা করি, তার সুফল আমরা পাব।"
দেশে বছরে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন বা আট হাজার কোটি ডলার।
গত অর্থ বছর গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি আগের সব বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এরপরও রপ্তানি হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আমদানি খরচ আরো বেশি হওয়ায় ঘাটতি ছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার।
আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি মেটানো হয় প্রবাসী শ্রমিকের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দুই বছরে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড পরিমাণ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক তেমন গুরুত্ব না দিলেও সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রিজার্ভের ওপর চাপের কথা স্বীকার করেন।
তবে তিনি বলেন, চাপ থাকলেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সরকার মনে করছে।
"চাপতো অস্বীকার করার কোন বিষয় নেই। তবে চাপেরতো মাত্রা আছে। আমরা মনে করি, সহনীয় পর্যায়ে আছে।"
এই বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে সর্বশেষ আমদানির যে পেমেন্ট, সেটা দেয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস কোন দায় বা পেমেন্ট নাই।
"এছাড়া আমাদের রেমিট্যান্সও বাড়বে আশা করছি এবং এখন রপ্তানি খুবই ভাল আছে। তাছাড়া আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, আমরা ব্যয় সংকোচন করছি। ফলে আমরা সাসটেইন করবো," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
শিল্প মালিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে তারা মনে করেন, সরকার সতর্ককতামূলক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সঙ্কট সামলানো সম্ভব হতে পারে।
ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই এর একজন পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ বলছিলেন, "আমরা ব্যবসায়ীরা সত্যিই শঙ্কিত হচ্ছি। শঙ্কার কারণ হলো, আমরা ১২ ঘন্টা একটা কারখানা চালাই, সেখানে যখন বিদ্যুতের ঘাটতি হবে, উৎপাদনের ক্ষতি হবে।"
"তার মানে এই নয় যে আমরা হতাশ হচ্ছি।"
শঙ্কা থাকলেও হতাশ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাসিনা নেওয়াজ বলেন, "আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বা ডলারের ব্যাপারে, সেগুলোর সাথে অ্যাডজাস্ট করে আমরা ব্যবসায়ীরা ঠিকই টিকে যাব। সেজন্য আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।"
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর ওপর সরাসরি প্রভাব
রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানিসহ সামগ্রিকভাবে ব্যয় কমানোর জন্য সরকার সাশ্রয়ী যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বড় প্রভাব পড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে ডিজেলসহ জ্বালানি তেল এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
গ্যাস এবং ডিজেল ভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সারাদেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
এই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার এখন শীত আসার অপেক্ষার কথা বলছে।
'এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি সাময়িকীর সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি খাত আমদানি নির্ভর হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
"জ্বালানি খাত নিয়ে আমরা যা ভাবছি, পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ।"
মি: হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে যেখানে জ্বালানি আমদানির খরচ ছিল মোট আমদানির ২২শতাংশ গত বছর তা ৪৮শতাংশ হয়েছে।
"এখন যে বিদ্যুৎ সঙ্কট, আমার ধারণা, এটা আরও বাড়বে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এবং গ্যাসের দাম না কমে তাহলে সঙ্কট বাড়বে" বলেন মোল্লা আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, একদিকে বিশ্ববাজার চড়া অন্যদিকে ডলার সঙ্কটের কারণে তেল এবং গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না।
"এখন বিদ্যুতে সাশ্রয় করা না হলে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম অনেক বাড়াতে হবে এবং সরকারের ভর্তুকি তুলে নিতে হবে। যেটা সরকার এখন চাইছে না।
"ফলে সরকার মনে করছে লোডশেডিং করে আড়াই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তাতে দাম বাড়াতে হবে না," বলেন মি: হোসেন।
সাশ্রয়ী কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারকে বৈদেশিক এবং দেশের ভেতর থেকে ঋণ নিতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।
অর্থ সহায়তার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর উচ্চ পর্যায়ে একটি দল এখন ঢাকায় আলোচনা করছে।
এখনকার পরিস্থিতিতে আইএমএফ এর সাথে আলোচনাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
"এ মুহুর্তে সরকার আইএমএফ এর সাথে যে আলোচনা শুরু করেছে, আমি এটাকে সঠিক মনে করি।"
ড: ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, "শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে যদি দেখি, একটু আগে থেকে আইএমএফ থেকে বৈদেশিক লেনদন কাঠামোটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ বেশি ঘনীভূত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়।"
তিনি বলেন, "যেহেতু সরকার সঠিক সময়ে এই আলোচনা শুরু করেছে, তাই সাড়ে বিলিয়ন বা ন্যূনতম দুই বিলিয়ন হোক, যে পরিমাণ অর্থ আনতে পারবে, সেটা অর্থের দিক থেকে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে আমাদের বৈদেশিক সহযোগীদের একটা সঙ্কেত দেয়ার ক্ষেত্রে।"
"বিদেশী সহযোগীদের প্রতি এই সংকেতের অর্থ হচ্ছে, আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে আছি," বলেন ড: ভট্টাচার্য।
বাংলাদেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা; উদ্বেগ কী নিয়ে?
আইএমএফ এর কাছ থেকে এমুহুর্তে ঋণ সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে দেশে নানা রকম আলোচনা চলছে।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে আইএমএফ এর কাছে কিছু ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এনিয়ে তিনি আতঙ্কের কিছু দেখেন না।
এই অর্থ সহায়তা চাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মন্ত্রী মি: মান্নান বলেন, "আইএমএফ এর কাছে আমরা এই প্রথম চাইনি। ৯০ দশকেও ঋণ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার আমরা করেছিলাম, তখন অন্য সরকার ক্ষমতায় ছিল।"
"আমরা আইএমএফ এর সদস্য। এটা আমাদের অধিকার। এর মধ্যেতো আমি ভয়ভীতির কোন কিছু দেখছি না," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
একদিকে অর্থসহায়তার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে আলোচনা এবং অন্যদিকে ব্যয় কমানোর সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হবে না বলে সরকার মনে করছে।
সাময়িক সমস্যা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা
কিন্তু অর্থনীতিবিদ ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, এখন সমস্যাকে মৌসুমী সমস্যা হিসাবে দেখা ঠিক হবে না।
"যে সমস্যা হচ্ছে, এটা মৌসুমী কোন সমস্যা না। এটা অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা।"
তিনি বলেন, "মৌসুমী সমস্যা হলে আমরা চলমান একটা পদক্ষেপ নিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি এবং সুসময় আবার আসার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে, বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি। এছাড়া রেমিট্যান্স কম আসছে।"
ড: ভট্টাচার্য মনে করেন, এই কাঠামোগত সমস্যা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন শুধু আন্তর্জাতিক বাজার বা ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপার না। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীন কাঠামোগত সমস্যা এবং এর ভেতরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের দায় দেনা পরিশোধের বিষয়ও আসবে। দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/
পাঠকের মতামত:

- দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশক বকস কল্লোল আর নেই
- রাত থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫ ঘন্টা বিমান চলাচল বন্ধ
- " চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার মিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স"
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ১ হাজার ৯৪ জনের মৃত্যু
- মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার সময় ৬ মাস বাড়লো জান্তা সরকার
- ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলেট
- দুপুরে বিএনপির যৌথসভা
- এ মাসে ফের আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহ
- রুপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে মানুষের ঢল
- আজ পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- আল-মদিনা ফার্মার কিউআইও অনুমোদন
- বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- ৯৫১ ভোটে হেরে গেলেন হিরো আলম
- বেড়েছে সূচক ও লেনদেন
- হজ প্যাকেজ ঘোষনা করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়
- আমরা জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি- আব্বাস
- জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার
- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে উপনির্বাচনে জাপার হাফিজ জয়ী
- সরকার ভয় পেয়েছে নাকি আপনারা ভয় পেয়েছেন- কাদের
- পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে- প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার বেসরকারিভাবে জয়ী
- মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- টিভিতে আজ যেসব খেলা
- বগুড়া উপনির্বাচনে ভোট দিলেন হিরো আলম
- বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত- মির্জা ফখরুল
- ভারতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
- শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে ছিটকে গেলেন আদানি
- এবার বাণিজ্য মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয়
- ছয় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহন শুরু
- শুরু হলো ভাষার মাস রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি
- অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করবেন আজ প্রধানমন্ত্রী
- বেশির ভাগ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত
- পাকিস্তানে মসজিদে হামলায় মৃত বেড়ে ৮৮
- তারেক-জোবায়দার নামে গেজেট
- ফের বেড়েছে বিদ্যুতের দাম
- পুঁজিবাজারের উন্নতি হলে অর্থায়ন সম্ভব- আইএমএফ
- এখন পর্যন্ত মেট্রোরেলের আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা
- চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে- কাদের
- ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন
- এসআইবিএলের চেয়ারম্যান ও এএমডির পদত্যাগ
- গ্রামীনফোনের ৯৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা
- পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে নিতে একসাথে কাজ করছে বিএসইসি
- আজ টিভিতে যেসব খেলা
- আইসিসির বিশ্বসেরা একাদশে স্বর্ণা আক্তার
- সোমবার আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয়
- মহানগর উত্তর বিএনপির পদযাত্রা বিকেলে
- পাকিস্তানে বিস্ফোরনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯
- আদানি গ্রুপের লোকসান ৫.৩ লক্ষ কোটি টাকা
- কাল বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা
- ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ
- বাংলাদেশ সফরে আসছে মালয়শিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাত দেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- ন্যাশনাল ব্যাংকেই ফিরছেন মেহমুদ হোসেন
- মাহেদির ব্যাটে ৫ উইকেটে জয় পেলো রংপুর
- সূচকের পতন হলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে
- জামিন পেলেন বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস
- কিডনি রোগীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলাফল খুবই গুরুতর
- সিপিডি অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে- কৃষিমন্ত্রী
- পিপীলিকাদের নিয়ে চিন্তা করার সময় আমাদের নেই- হানিফ
- নতুন বইয়ের ভুল সংশোধনের উদোগ নেয়া হয়েছে- শিক্ষামন্ত্রী
- মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে যে কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে- আইনমন্ত্রী
- এই যাত্রা আপনাদের জন্য আগাম শোকযাত্রা- গয়েশ্বর
- বিএনপির পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা- মির্জা ফখরুল
- আইএমএফের ঋণ অনুমোদন হতে পারে আজ
- মাস্ট উইন গেমে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে ঢাকা
- বিশ্বে করোনায় আরো ৫৩৪ জনের মৃত্যূ
- ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের নামে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা
- ঢাকা দক্ষিন বিএনপির পদযাত্রা আজ
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল
- ছয় আসনে থাকছে না সিসি ক্যামেরা- ইসি
- জলির শিল্পকর্ম: সত্তার রাজনৈতিক মেটামরফাসিস
- ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত নিহত ১১
- ইসরায়লের হামলায় গাজায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহিত,ঢাকার প্রতিবাদ
- বড় শাস্তি পেলেন পেলেন সোহান
- দাম বেড়েছে সবজি ও ডিমের, কমেছে আটার
- পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে নিহত ২৪
- মাহেদির ব্যাটে ৫ উইকেটে জয় পেলো রংপুর
- মাস্ট উইন গেমে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে ঢাকা
- হরকাতুল জিহাদের ৬ সদস্য আটক
- রোহিঙ্গাদের ৭৫০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- গার্ডিয়ানের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি
- কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের জেরে আবারো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
- টানা ৭ দিন দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
- আইএমএফের ঋণ অনুমোদন হতে পারে আজ
- রিজওয়ানা হাসানের উপর হামলার ঘটনায় নাগরিক সমাজের নিন্দা
- বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি সফল গল্প- বিশ্ব ব্যাংক
- ৮ ফ্রেব্রুয়ারি এইচএসসি ফলাফল
- আজ ঢাকায় বিএনপির পদযাত্রা
- করোনায় বিশ্বে নতুন শনাক্ত দেড় লাখের নিচে
- পাঠ্যবইয়ের ভুল ওয়েবসাইটে প্রকাশের আবেদন
- সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে জেনেক্স
- নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে সমুচিত জবাব - তথ্যমন্ত্রী
- দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারক ক্যান্সারের মতো- প্রধান বিচারপতি
- কেডিজেএফ’র সভাপতি নজরুল, সা.সম্পাদক রিজভী
- উত্তরায় শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ঢল
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর
- দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশক বকস কল্লোল আর নেই
- রাত থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫ ঘন্টা বিমান চলাচল বন্ধ
- ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলেট
- এ মাসে ফের আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহ
- আজ পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় - এর সব খবর
