thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

জিম্বাবুয়ে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশকে

২০২২ জুলাই ৩০ ১৯:৩০:২১
জিম্বাবুয়ে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশকে

দ্যরিপোর্ট প্রতিবেদক:টি-টোয়েন্টির পরীক্ষিত খেলোয়াড় সিকান্দার রাজা। ভয়টা তাকে নিয়েই বেশি ছিল বাংলাদেশ দলে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো! হারারেতে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন এই ব্যাটার। তার সঙ্গে ওয়েসলি মাদেভেরের চমৎকার ইনিংসে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ফলে বাংলাদেশকে পেরোতে হবে কঠিন পথ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা করেছে ২০৫ রান।

আজ (শনিবার) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুটা ধীরগতির হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে ভয়ংকর হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। রাজা খেলেন হার না মানা ৬৫ রানের ইনিংস। মাত্র ২৬ বলে খেলা টর্নেডো ইনিংসটি তিনি সাজান ৭ চার ও ৪ ছক্কায়। এছাড়া রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা মাদেভেরে ৪৬ বলে ৯ বাউন্ডারিতে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। এই দুজনের দুর্দান্ত ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করেছে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের কোনও বোলার বাদ পড়েননি তাদের তাণ্ডবের সামনে। মোস্তাফিজুর রহমান শুরুতে উইকেট আনন্দে ভাসলেও শেষ দিকে তার ওপর দিয়ে ঝড় গেছে সবচেয়ে বেশি। তাসকিন আহমেদ কিংবা শরিফুল ইসলামও বাদ পড়েননি রাজা-মাদেভেরের তাণ্ডবের সামনে। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৯১ রানের জুটি। রাজা-মাদেভেরের ইনিংস দুটিই আসলে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়েছে।

অথচ বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা কী চমৎকারই না ছিল। শেষ দিকে ‘মুক্তহস্তে’ রান দেওয়ার আগে মোস্তাফিজ ছিলেন সবচেয়ে সফল। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম আঘাতটা তারই। খানিক পর শন উইলিয়ামস যখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনও সেই মোস্তাফিজের ছোঁয়ায় ফেরে স্বস্তি। হারারেতে বাঁহাতি পেসার যেমন আনন্দে ভাসলেন, তেমনি বাংলাদেশ ক্যাম্পেও ঝরে খুশির ঝরনাধারা। কিন্তু পরের সময়টায় শুধুই জিম্বাবুয়ের রাজত্ব।

এবারের জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারুণ্যনির্ভর দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় তার দক্ষতা আরও বেশি। সেটিরই দেখা মিললো হারারেতে। জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের শাসনের বিপরীতে সাফল্য পেয়েছেন এই পেসার।

তার হাত ধরেই সফরকারীরা পায় প্রথম উইকেট। শুরু থেকেই ভুগছিলেন রেগিস চাকাভা। এই উইকেটকিপার ব্যাটার বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি। মোস্তাফিজের বলে মিডউইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ১১ বলে করে যান মাত্র ৮ রান।

আফ্রিকার দেশটি ওই ধাক্কা মোটামুটি কাটিয়ে উঠেছিল অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন ও ওয়েসলি মাদেভেরের ব্যাটে। দুজন মিলে সুযোগগুলো কাজে লাগাচ্ছিলেন। বাজে বল সীমানা ছাড়া করে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন রান। তাদের জুটি যখন দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই মোসাদ্দেক হোসেনের আঘাত। এই স্পিনারের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরভিন। যাওয়ার আগে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেন ২১ রান।

আরভিনের বিদায়ের পরের সময়টা জিম্বাবুয়ের। শন উইলিয়ামস ও মাদেভেরে রীতিমতো শাসন করেছেন বাংলাদেশের বোলারদের। বিশেষ করে, উইলিয়ামস চড়াও হয়েছিলেন বেশি। এই অবস্থায় স্বস্তি ফেরান সেই মোস্তাফিজ। উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। জিম্বাবুইয়েন ব্যাটার ১৯ বলে খেলে যান ঝড়ো ৩৩ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মার। এরপরই শুরু রাজার তাণ্ডব। যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাদেভেরে।

বোলিংয়ে বাজে একটা দিন গেছে বাংলাদেশের। মোসাদ্দেক ছাড়া সব বোলারই রান খরচ করেছেন। এই স্পিনার ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। অবশ্য উইকেটের দিক থেকে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজ। এই বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর