"বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট" ৩০শে নভেম্বর জাপানে:উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

মাহি হাসান,দ্য রিপোর্ট: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে একের পর এক রোডশোর আয়োজন করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকল সরকারি সফর বন্ধ থাকায় বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিলো এই কর্মসূচির। নির্দেশনা কিছুটা শিথিল হওয়ায় বিএসইসি আবার শুরু করতে যাচ্ছে এই কর্মসূচির। এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের শেয়ারবাজারে আকৃষ্ট করতে আগামী ২৫ নভেম্বর জাপান যাওয়ার কথা রয়েছে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নেতৃত্বাধীন একটি দলের । বিএসইসি সুত্রে পাওয়া তথ্যমতে "বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট" নামক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল আলম জানান, দুইদিন ব্যাপী এই আয়োজনে ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রথমদিন রাজধানী টোকিওর আনা ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্যে "ইনভেস্টর প্লাস মভ: নেটওয়ার্কিং ডিনার" অনুষ্ঠিত হবে।

পরদিন, ৩০শে নভেম্বর সকাল ৯ টায় "বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট" আয়োজন করা হবে নিউ ওতানি হোটেলে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

আজ রাতে এই সফরের ব্যাপারটি দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। তিনি বলেন,আজই সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে বৈঠক শেষে এই সফরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে ঢাকায় জাপান দূতাবাস, বিডা ও বিএসইসির প্রতিনিধি দলের মধ্যে এ -সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। যে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। মূলত তখনই জাপানে রোড শোর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তখনই মূলত সিদ্ধান্ত হয় দেশের শেয়ারবাজারের ব্যাপ্তি বাড়ানো এবং প্রবাসীদের বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্য নিয়ে আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে রোড শো আয়োজন হবে।

সেপ্টেম্বরে আয়োজিত সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতু নাওকি, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মিয়া, বিএসইসির কমিশনার মো. আবদুল হালিম, ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান, ড. রুমানা ইসলাম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, বিডার পরিচালক মো. আরিফুল হক, আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান, বিএসইসির পরিচালক কাউছার আলী ও যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল আলমসহ জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।