thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

সাক্ষীকে কারাগারে পাঠালেন না ট্রাইব্যুনাল

২০১৪ এপ্রিল ০১ ১৫:১২:৩৭
সাক্ষীকে কারাগারে পাঠালেন না ট্রাইব্যুনাল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য না দেওয়ায় সাক্ষীকে কারাগারে পাঠাতে প্রসিকিউশনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ আদেশের মাধ্যমে সাক্ষীকে কারাগারে পাঠালেন না আদালত।

ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নাম না বলায় সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিলেন প্রসিকিউশন।

আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের নেতৃত্তাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষীকে কারাগারে না পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত তার আদেশে বলেন, ‘সাক্ষীকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন খারিজ করা হল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাক্ষীকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন। যদি এ সাক্ষী এ মামলার অন্যান্য সাক্ষীকে কোনরূপ প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তাহলে আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।’

সাক্ষী মহিবুল ইসলাম রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার ধাপপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষী আদালতে প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন। সুতরাং নিরাপত্তার হুমকি থাকলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে থাকতে পারে। তাছাড়া সাক্ষী যা সত্য জানেন তা আদালতে এসে বলবেন। এভাবে যদি প্রসিকিউশনের পক্ষে কথা না বললে কারাগারে যেতে হয়, তাহলে পরবর্তীতে কোনো সাক্ষী প্রসিকিউশনের কথার বাইরে সত্য কথা বলতে পারবে না। যা ন্যায় বিচারকে ধ্বংসের অপচেষ্টা।’

এর আগে সকালে প্রসিকিউশনের সপ্তম সাক্ষী তার জবানবন্দি পেশ করেন। পরে সাক্ষীকে বৈরি ঘোষণা করে তার নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন ট্রাইব্যুনালের কাছে। তবে সাক্ষী তার নিরাপত্তা চায় না বলে দাবি করেন।

আবেদনে প্রসিকিউশন জানান, সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে (৫৬) নিরাপত্তা দিতে কাস্টডিতে (কারাগারে) পাঠানো প্রয়োজন। তখন আদালত সাক্ষীর কাছে জানতে চায় আপনি কি নিরাপত্তা হেফাজতে যেতে চান। জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা চাই না’।

আমিনুল ইসলাম তার জবানবন্দি পেশ করার সময় বলেন, ‘পাকিস্তানি রাজারকার ও এদেশীয় দোসররা বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। তখন তাকে বৈরি (শত্রু) ঘোষণা করে প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে বলা হয় সাক্ষীকে নিরাপত্তা দিতে হবে।’

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের সাক্ষী জবানবন্দি দিতে এসে আসামির নাম না বলায় বৈরি ঘোষণা করেছেন প্রসিকিউটর।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (প্রসিকিউটর) একেএম সাইফুল ইসলাম, তাপস কান্তি বল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে উপস্থিত ছিলেন আজহারুলের পক্ষে তাজুল ইসলাম, শিশির মুহাম্মদ মনির। সকালে আজহারকে আসামির কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, প্রসিকিউশনের ইচ্ছানুযায়ী আদালতে জবানবন্দি না দেওয়ায় সাক্ষীকে বৈরি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/আরকে/এপ্রিল ০১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর