thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

‘আমার বাবা ষড়যন্ত্রের শিকার’

২০১৪ এপ্রিল ০২ ১৯:৫৭:১৭
‘আমার বাবা ষড়যন্ত্রের শিকার’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মোবারকের হোসেনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তার ছেলে মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা মোবারক হোসেন গ্রাম্য ষড়যন্ত্রের শিকার। গ্রামের শত্রুরা যখন অন্যভাবে আমার বাবাকে ফাঁসাতে পারেনি, তখন তারা যুদ্ধপরাধের মতো স্পর্শকাতর মামলা দিয়েছে। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।’

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মোবারকের বড় ছেলে আসাদ উল্লাহ বুধবার এ সাফাই সাক্ষ্য দেন।

এর আগে আসামি মোবারক হোসেন নিজেই প্রথম সাক্ষী হিসেবে তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

এরপর সাক্ষী আসাদ উল্লাহ আসামি পক্ষের দাখিলকৃত বিভিন্ন প্রদর্শনীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাক্ষ্য শেষ করেন।

সাক্ষী বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে গঠন করা পাঁচটি অভিযোগের ঘটনাসমূহ ‘মুক্তিযুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়িয়া’ নামক বইয়ে উল্লেখ আছে। বইয়ের কোথাও মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় আমার বাবার নাম উল্লেখ নেই।’

আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। সাক্ষ্যগ্রহণের পর দ্বিতীয় এ সাফাই সাক্ষীকে সংক্ষিপ্ত জেরা করেন প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান।

জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করে ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৬ নভেম্বর মোবারকের পক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষীর অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবারকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

গত বছরের ২০ মে থেকে মোবারকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২৩ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অপহরণের পাঁচটি অভিযোগ এনে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর পর গত ১৬ মে মোবারকের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম।

একাত্তরে সংঘটিত একটি হত্যার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমে একটি মামলা হয়।

পরে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর মোবারক হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। মামলাটি পরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। পরে এ মামলায় আটক হন মোবারক হোসেন।

দ্যরিপোর্ট/এসএ/একে/সা/এপ্রিল ২, ২০১৪

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর