thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

তাজরীন চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

২০১৪ এপ্রিল ০৩ ১০:৩৪:৩৪
তাজরীন চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তাজরীন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহীদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

সকাল ১০টার দিকে মাহমুদা আক্তার মিতা কাজী শহীদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

মাহমুদার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী এ টি এম গোলাম গাউস।

গত ২০ মার্চ ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মজিদ তার জামিন বাতিল করে ১৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।

১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম ইসমাঈল ২০ হাজার টাকা বন্ডে মাহমুদা আক্তার মিতার এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের রবিবার তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার তাজুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন চান। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীনের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার। পলাতক রয়েছেন- প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু ও ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক।

চার্জশিটে বাকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন এবং লোডার শামীম মিয়া। এর মধ্যে আনিসুর রহমান আটক রয়েছেন। বাকি ৬ জন জামিনে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুইশতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।

পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪(ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়, যার প্রথমটিতে তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/জেএম/এজেড/এপ্রিল ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর