thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

তারেক-মামুনের অর্থপাচার মামলার রায় আজ

২০১৩ নভেম্বর ১৭ ০৯:২৬:০৬
তারেক-মামুনের অর্থপাচার মামলার রায় আজ

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলার রায় রবিবার ঘোষণা করা হবে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন।

গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষে বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা আদালতকে বলেছিলেন, এই মামলার সাক্ষী খাদিজা ইসলাম তার সাক্ষ্যে কোথাও বলেননি, তিনি তারেক রহমানকে কোনো অর্থ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাজ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শক ফি হিসেবে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলাম টাকা দিয়েছেন। আর ওই টাকার লেনদেন হয়েছে বিদেশে, তাই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনার কোনো সুযোগ নেই।

আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা মামলায় যে টাকার লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে, সে টাকাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ দেখিয়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও তার স্ত্রীকে আরেকটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাই এই মামলায় তারেক-মামুনকে সাজা দেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সাক্ষী হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট মিস ডেবরা লেপরোভেট সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কিছু কাগজপত্রের ফটোকপি দাখিল করেছেন। অথচ তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী তালিকায় ডেবরার নাম ছিল না। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাক্ষী করা হয়।

বৃহস্পতিবার আসামি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন বলেন, ৭ নভেম্বর দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আসামি মামুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের প্রভাব খাটিয়ে টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেন। সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন হয়। ওই অবৈধ টাকার কিছু অংশ তারেক রহমান ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন। কিন্তু ওই টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় দেখানো হয়নি।

তিনি বলেন, ওই টাকাটা যদি বৈধভাবেও নেওয়া হতো, তবু ঘোষণা না করায় তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী অপরাধ বলেই গণ্য হতো।

(দিরিপোর্ট/ওএস/এএস/জেএম/নভেম্বর ১৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর