thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

তিস্তা মার্চ

‘পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে’

২০১৪ এপ্রিল ১৯ ১৯:৫৯:১১
‘পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে’

কাওসার আজম ও হাসান মাহমুদ, তিস্তামার্চের গাড়িবহর থেকে : সিপিবির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান বলেছেন, ‘তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী এর পানি ভারত, বাংলাদেশ সবার। আন্তর্জাতিক নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার চলবে না। পানির জন্য আজ পুরো উত্তরাঞ্চলে হাহাকার। এ অঞ্চলের পরিবেশ-প্রকৃতিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ভারত যদি সত্যিকারভাবেই বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে থাকে তাহলে তাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’

তিন দিনব্যাপী তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে ‘তিস্তামার্চ’ উপলক্ষে লালমনিরহাটের দোয়ানী বাজারে স্থানীয় সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি।

মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, ‘আমরা জুলুমবাজ পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু কোনো সরকারই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি ভারত-পাকিস্তান ও আমেরিকার গোলাম হওয়ার জন্য নয়। ভারত একটার পর একটা সুবিধা আদায় করে নিয়েই যাচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ করিডোর, ট্রানজিট, গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ে যাচ্ছে। নেওয়ার বেলায় ষোলআনা, দেওয়ার বেলায় শূন্য।’

ভারত বারবার বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হুজুর হুজুর করলে চলবে না। পানির সমস্যা সমাধানে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে হবে।’ এ জন্য জামায়াত-হেফাজত বাদে সব দল ও পেশার মানুষকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সিপিবির এ বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভারতের কাছ থেকে সব দাবি আদায় করতে পারব।’

বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘ভারত তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এটা তারা করতে পারে না। এ নদীর পানি আমাদের অধিকার আমাদের লংমার্চ কর্মসূচি চলা অবস্থায় কাল কিছুটা পানি ছেড়েছে ভারত। এতে বুঝা যায় চাপ দিলে পানি পাওয়া যাবে। মূলত সরকারের ভ্রান্ত ও নতজানু নীতির কারণে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।’ পানির হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক দরবারে প্রশ্ন তোলার দাবি জানান এ বামপন্থী নেতা।

সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।

দোয়ানীবাজারে সমাবেশের মাধ্যমে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে সিপিবি-বাসদের তিন দিনব্যাপী ‘তিস্তামার্চ’ কর্মসূচি শেষ হয়।

রংপুর জেলা সিপিবির সভাপতি শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ ও রাজেকুজ্জামান রতন, স্থানীয় বাসদ নেতা আব্দুল কুদ্দুস ও শাহীন রহমান বক্তব্য দেন।

এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রংপুর থেকে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পৌঁছে তিস্তামার্চ গাড়িবহর। রংপুর থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সমাবেশ শেষে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রওয়ানা দেয় গাড়িবহর। পথে পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, জলঢাকায় সমাবেশ করে তারা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রওয়ানা দেয় তিস্তামার্চ গাড়িবহর। পথে গাজীপুর চৌরাস্তায় সমাবেশ শেষে সিরাজগঞ্জে রাত্রীযাপন করে দলটি। পরদিন শুক্রবার সিরাজগঞ্জ শহরের স্বাধীনতা স্কয়ার, সিরাজগঞ্জ রোড, ঘুড়কাবাজার সমাবেশ শেষে বিকেলে বগুড়ার সাতমাথায় সমাবেশ করে রংপুরে রাত্রীযাপন করে নেতাকর্মীরা।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এনডিএস/আরকে/এপ্রিল ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর