thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

এক যুগ পর সংসদে ‘গুরু-শিষ্য’

২০১৩ নভেম্বর ১৮ ২০:১০:১০
এক যুগ পর সংসদে ‘গুরু-শিষ্য’

রাজু হামিদ, দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। এরই মধ্যে কখনও বিরোধী দলের রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কখনও বা সংস্কারবাদীদের শীর্ষ নেতা; সবশেষে আবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা আমির হোসেন আমু ও তার রাজনৈতিক শিষ্য তোফায়েল আহমেদ। বাকি ছিল মন্ত্রিত্বের তকমা জড়ানো; যা ছেড়ে দিয়েছিলেন ১৩ বছর আগে।

আওয়ামী লীগের এই দুই ডাইসাইটে নেতা সোমবার মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ শেষে সেই তমকা জড়িয়ে চিরচেনা সংসদে প্রবেশ করেন। বিকেল ৫টার দিকে প্রথমে তোফায়েল আহমেদ এবং তার ৫ মিনিট পর অধিবেশনে ঢোকেন আমির হোসেন আমু। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের বিরতীর পর যোগদান করেন নতুন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও রুহুল আমিন হাওলাদার।

তোফায়েল আহমেদ এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার ডাক পেয়েছিলেন। সেবার তার সঙ্গে ছিলেন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। কেবল ডাক পড়েনি আমির হোসেন আমুর। সেবার রাজনৈতিক গুরু আমির হোসেন আমুর জন্য শিষ্য তোফায়েল লোভনীয় ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কি না সেটা স্পষ্ট না হলেও এবার গুরু-শিষ্য একইসঙ্গে শপথ নিলেন। অধিবেশনে ঢুকলেনও প্রায় একইসঙ্গে।

আমির হোসেন আমু এর আগে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী এবং একই সময়ে তোফায়েল আহমেদ শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন।

এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও এবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। সন্ধ্যার পর অধিবেশনে ঢোকেন তিনি। একই সময়ে অধিবেশনে ঢোকেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে সংসদে ফেরেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পত্নী রওশন এরশাদ ও ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

জানা যায়, রওশন এরশাদ ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে ময়মনসিংহ- ৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০১ সালে গাইবান্ধা- ৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাইবান্ধা- ৫ ও ময়মনসিংহ- ৪ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া রংপুর- ৩ আসনে উপনির্বাচন জয়ী হন তিনি। আর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮, ১৯৮৮ ও ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম- ৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে রুহুল আমিন হাওলাদার ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জিয়াউর রহমানের সরকারের প্রতিমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে বরিশাল- ৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এদিকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও সালমা ইসলাম সন্ধ্যার পরই অধিবেশনে যোগদান করেন। এদের মধ্যে মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এরশাদ সরকারের উপমন্ত্রী হন।

অন্যদিকে সালমা ইসলাম ২০০৮ সালে রাজনীতিতে যোগ দিয়েই জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে জাতীয় পার্টির কোটায় সংসদ সদস্য হন। ২০০৯ সালের কাউন্সিলে দলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনিত হন। ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টিরও সভাপতি তিনি। সবশেষ তিনি জাতীয় পার্টির তালিকায় সর্বদলীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।

(দিরিপোর্ট/আরএইচ/এসবি/এমডি/নভেম্বর ১৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর