thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

পুন:অর্থায়নে আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি ব্রোকারদের

২০১৩ নভেম্বর ২৭ ১৮:২৪:০৪
পুন:অর্থায়নে আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি ব্রোকারদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য পুন:অর্থায়ন তহবিলে আবেদনের সময় একমাস বাড়ানোর দাবি করেছে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকাররা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অনীহা দূর করতে শর্ত শিথিলেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারদের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ।

বৈঠক শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিযোগকারীদের সহায়তা তহবিলের তদারকি কমিটির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুন:অর্থায়ন তহবিলের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে বেশ কিছু সমস্যা উঠে এসেছে। এ তহবিলে আবেদনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তদারকি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের দেওয়া পুন:অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সাড়া পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বিতরণের সময় একমাস বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিভাবে টাকাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে সহজে পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ কিছু শর্ত শিথিলেরও পরামর্শ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইসিবির কাছে পুন:অর্থায়নের জন্য ব্রোকারদের পক্ষ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার মতো আবেদন জমা পড়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে আরও আবেদন জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ সাজিদ হোসেন সংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে কিভাবে পুন:অর্থায়নের কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে অলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বিশেষভাবে বিনিয়োগকারীদের অনীহার বিষয়টি উঠে এসেছে। এ সমস্যা দূর করতে ব্রোকারদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব বিএসইসির কাছে তুলে ধরা হযেছে। তারা এ সব প্রস্তাবের সার্বিক দিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে।’

বৈঠক শেষে আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের দেওয়া পুন:অর্থায়নের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সাড়া না পাওয়ার কারণ জানতে ব্রোকারদের ডেকেছে বিএসইসি। এ বিষয়ে ব্রোকারদের পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে প্রস্তাব জানানো হয়েছে। এছাড়া কিভাবে টাকাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে সহজে পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ কিছু শর্ত শিথিলের পরামর্শ দিয়েছেন।’

ভয়াবহ ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে ৯০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সুদ মওকুফের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে গত ১৯ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা জারি করে। এরপর ২২ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। প্রতি কিস্তিতে ৩০০ কোটি টাকা করে আগামী ৩ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০০ কোটি টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ছাড় হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিশেষ সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি। কি কারণে সুদ মওকুফ কার্যক্রমে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই তা জানতেই বুধবার জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে বিএসইসি।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর একই কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে আইসিবি। বৈঠকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সুদ মওকুফের বিষয়ে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার কিছু অংশ শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি।

উল্লেখ্য, সুদ মওকুফ কার্যক্রমের শর্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার হাউজগুলোকে অর্থের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার হাউজগুলোতে সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করেনি। যে কারণে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার হাউজগুলোও আইসিবির কাছে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আবেদন করতে পারেনি।

(দিরিপোর্ট/এনটি/এইচকে/এইচএসএম/নভেম্বর ২৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর