thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৪ শাওয়াল 1445

পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফ’র শক্তি বৃদ্ধি

২০১৩ ডিসেম্বর ০৪ ২২:৪৩:০৩

ভারত তার বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন বঙ্গোপসাগর নিয়েও। তাই ইতোমধ্যে পাকিস্তানের জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গে অতিরিক্ত দুই ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আনা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন এলাকার একটি দ্বীপে মিসাইল বসানো হচ্ছে। ড্রোন নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে এ অঞ্চলকে।

ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যে বর্ডার তার অনেকগুলো পয়েন্ট দুর্বল। এইসব দুর্বল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি প্রবেশের আশঙ্কা করছে ভারত। অন্য একটি সংবাদে জানা গেছে, বাংলাদেশ ডুবোজাহাজ কেনায় ভারত উদ্বিগ্ন। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদে বলা হয় চীনের ডুবোজাহাজ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে থাকতে পারে বলে ভারতীয় নৌ-বাহিনী আশংকা প্রকাশ করেছে। সংবাদে বঙ্গোপসাগরে চীনের উপস্থিতি রোধে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।

আলোচ্য দুটি সংবাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও চীনা ভাষ্য না থাকায় ভারতীয় অভিযোগ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে এও সত্য যে, বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্ত এবং বঙ্গোপসাগরে ভারত তার সামরিক উপস্থিতি ও কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করছে। আগামীতে যা স্থায়ী রূপ দিতে পারে।

বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্ত এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কোনো বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নয়। তাই ভারতের একতরফা শক্তি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা নয়। তবে ভারত তার সীমান্তে যেভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে তাতে এই সীমান্তে দুর্বল পয়েন্ট থাকার দাবি প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া বাংলাদেশ যেহেতু ভারত বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র সেহেতু এখান থেকে কোনো অনুপ্রবেশের আশংকা থাকলে তা ভারত বাংলাদেশকে অবগত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি করতে পারতো।

বাংলাদেশ ব্যবস্থা না নিলে বা ব্যর্থ হলে ভারত তার সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা নিতে পারতো। যেহেতু এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই সেহেতু নাগরিক হিসেবে আমাদের সীমান্তে ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের মনে সন্দেহের ডালপালা বিস্তার হওয়াই স্বাভাবিক।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert