১৫ ফেব্রুয়ারি নাকি ২২ জানুয়ারি?
কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বয়কট ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এ নির্বাচন একতরফা হবে কি না, এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে তেমনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে নির্বাচন; নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো শেষ পর্যন্ত কমিশন ঘোষিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, এ নিয়ে সর্বমহলে সংশয় ও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্র ১০টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দল এ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে টানা ৬দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচিতে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে। দেশজুড়ে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রাজনৈতিক জোটের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দেশজুড়ে অজানা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান রাজনীতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সংকট সমাধানে দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ বহির্বিশ্বের চাপ বাড়ছে। দুইপক্ষকে এক জায়গায় বসে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন। সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না সংকটের।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে। কমিশন ঘোষিত তফসিলের পরির্তন মানবে না আওয়ামী লীগ।’’
শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এতে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করেন, নির্বাচন প্রতিহত বা প্রতিরোধের মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি জোটের নেই। সম্প্রতি সর্বশেষ ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে কতগুলো দল এলো, সেটা বড় বিষয় নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন টালমাতাল তখন বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। আলোচনা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে শুক্রবার আসতে পারেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনিও সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে সবমহল থেকে। শেষ পর্যন্ত সংকট উত্তরণে তাদের সফর কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে কিনা। যদি হয় তাহলে সেটি আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হবে কিনা? নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভণ্ডুল হবে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সবমহলে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। হরতালসহ টানা অবরোধ পালন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। তবে সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে বিদায় নিতে হয় বিএনপিকে। ওই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৪ হাজারের মতো। শেষ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রের সংখ্যা ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয় সারাদেশে। তখনকার বিরোধী দলের প্রতিরোধের মুখে সারাদেশের কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি কর্মকর্তারা। অনেক কেন্দ্র ভোটারহীন থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। নির্বাচন হয় ২৫২টি আসনে। শেষপর্যন্ত কমিশন ২৪২ আসনের নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বাকি ১০টি আসনের নির্বাচনী ফল কমিশনে পৌঁছায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে কমিশনের মোট ব্যয় হয় ৬৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনেই ব্যয় হয় ৪৮ কোটি টাকা।
প্রেক্ষাপট ২২ জানুয়ারি ২০০৭ :
দেশ জুড়ে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অন্যদিকে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে মহাজোট এবং কুমিল্লায় চারদলীয় জোটের বড় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহাজোটের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২২ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচন হবে না। যেকোনো মূল্যে এ নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদি কেউ যান তবে গণদুশমনে পরিণত হবেন।’ জনসভা থেকে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে মহাজোটের পক্ষ থেকে ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বঙ্গভবন ঘেরাও, ১৪ ও ১৫ এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ২১ ও ২২ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে একইদিন চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ নির্বাচন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুইদিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে এ গোপন বার্তায় সে সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি উঠে আসে।
বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী বিশ্বাসভঙ্গ করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে-এ ধরনের কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাও এ দুটি গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।
বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।
উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভাবনা নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে সতর্ক করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন এ দুই কূটনীতিক। দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরোধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।
বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে।
পরদিন ৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া এ দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তাতে সাড়া দেননি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তার বার্তায় বিউটেনিস আরো লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যিসত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এর আগে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়া ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। সংকট সমাধান হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর সংকটের সমাধান হয়নি। তৎকালীন রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কূটনীতিক মহল তৎপর হয়ে ওঠেন। আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, তাদের তৎপরতার ফলও শুভ হয়নি। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত বহুল আলোচিত ১/১১-এর ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্টজনেরা যা বললেন :
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির চাইতেও ভয়াবহ।
যেভাবে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সামনের অবস্থা আরো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছি না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম দ্য রিপোর্টকে জানান, যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল ঘোষিত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেখানে শঙ্কা তো থাকবেই। প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলকে বাদ দিয়ে সরকার যে একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। দেশ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা নাকি ২০০৭ সালের একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রচেষ্টায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সমাধানের আশা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সংকট সমাধানে সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল তাদের দাবি থেকে সরে আসছে না। এ অবস্থায় সংকট সমাধানের তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- কসবা সীমান্তে ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
- আজ থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট
- ঋণ খেলাপি চিহ্নিতে উপজেলা প্রার্থীদের তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সংশোধিত ফল প্রকাশ
- খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ২৯ জুলাই
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, তিনদিনের হিট আ্যালার্ট
- পতনের ধারা থেকে সরানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারকে
- মাধবদীতে হিট স্ট্রোকে এক যুবকের মৃত্যু
- ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- থার্ড টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা বাস, নিহত ইঞ্জিনিয়ার
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- বাংলাদেশে যত অপরাধ হয়, তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- সারাদেশে তিন দিনের হিট এলার্ট জারি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের