thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

‘হাসিনা না থাকলে সব সমস্যা মিটে যাবে’

২০১৩ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:০২:০৪
‘হাসিনা না থাকলে সব সমস্যা মিটে যাবে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২৪ জানুয়ারির পর সম্পূর্ণ অবৈধ হয়ে যাবেন। সে দিন থেকে আপনি (শেখ হাসিনা) আর থাকবেন না। আপনার চ্যালাচামুণ্ডারাও থাকবে না। আপনি না থাকলে দেশের প্রায় সব সমস্যাই মিটে যাবে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জামায়াতের কোনো কর্মসূচিতে যাই না। যতক্ষণ জামায়াত বিএনপির সঙ্গে কোনো মঞ্চে থাকবে, ততক্ষণ আমি জীবিত কাদের সিদ্দিকী বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে যাব না।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়া যদি নিশ্চয়তা দিতে পারেন, ক্ষমতায় গেলে আর নতুন হাওয়া ভবন হবে না। গিয়াসউদ্দিন মামুনের মতো কোনো দুর্বৃত্ত-দুষ্কৃতিকারীর জন্ম হবে না। কাঁচের ঘর থেকে কোনো হারিস চৌধুরীরা ষড়যন্ত্র করবে না। তাহলেই দেশের জনগণ উনাকে আবার বিজয়ী করবে।’

বিএনপি সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমি অনেকবার বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আলাপ করেছি। আমি বুঝেছি, বিএনপিতে কোনো নেতা নেই, যারা তাকে সত্য কথা বলবেন। সত্য ধরিয়ে দেবেন। যারা আছেন তারা চাটুকার।’

সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ বলেন, ‘সরকারের পতন ঘণ্টা ইতোমধ্যেই বেজে গেছে। পতন তাদের ঘটছেও। ভবিষ্যতে ইতিহাস বলবে, এ দেশে এমন একটি সরকার ছিল, যা ‘ব্যাড’ সরকার। যারা জনগণের প্রতিরোধের ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকায় যেতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ধিক্কার জানাই মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে। যারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদের দুর্নীতির তথ্য মুছে ফেলেছে। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। চলছে, চলবে। এ আন্দোলনে বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো শেখ হাসিনার সরকার ভেঙ্গেচুরে ভেসে যাবে।’

জাফর বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নতুন করে শুরু করেছে। আর যিনি পুতুল নাচের নায়ক, তিনি সরকারের ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালে রয়েছেন।’

নতুন জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর আহ্বানে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যে সংবিধান মানুষের উপকারে আসে না, কল্যাণ করে না; সেই সংবিধানের কোনো প্রয়োজন নেই। তা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। কারণ, সংবিধান মানুষের কল্যাণের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আজ বিচার বিভাগের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। দেশের এই সংকট নিরসনে কেন বিচার বিভাগ স্ব-উদ্যোগে কোনো কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছে না, তা ভেবে দেখার বিষয়।’

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকের বিতর্কিত রায় সারাদেশকে আগুনে পোড়াচ্ছে। তার জ্বালানো আগুন শেখ হাসিনার হাত দিয়ে লেলিহান শিখা হয়ে পুরো দেশকে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিচ্ছে। তাই এর দায় অবশ্যই খায়রুল হককে নিতে হবে।’

এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কূটনীতিক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের সভাপতি ডা. আজিজুল হক, মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সভাপতি আনহ আকতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল আহসান, আইনজীবী সানাউল্লা মিয়াসহ অন্যরা।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এসকে/নূরুল/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর