thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

বড়দিনের শান্তির বাণী

২০১৩ ডিসেম্বর ২৬ ০০:০৫:৪৬

সারা দুনিয়ার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কোটি কোটি মানুষ মহামতি যিশু খ্রিস্টের শুভ জন্মদিন সাড়ম্বরে পালন করেছেন। বড়দিন খ্যাত এই দিনে নানা বর্ণ ও মতের খ্রিস্টান সম্প্রদায় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে মহান এই মানুষটির শান্তির বাণীর কথা। শুধু তাঁর অনুসারী খ্রিস্টান সম্প্রদায় নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষও শান্তির বাণীবাহক এই মহাত্মার জন্মদিনে তাঁর প্রতি সমান শ্রদ্ধাবান।

পৃথিবীর আদি সভ্যতার কেন্দ্রস্থল আরব ভূমিতে একেশ্বরবাদী ধর্মের ধারকরা সেই জনপদের মানুষের কাছে নবী ও রাসূল হিসেবে পরিগণিত ও অনুসরণীয় হয়েছেন। তবে মহান যিশু খ্রিস্টের বাণীই সর্বপ্রথম আরব ভূমি ছাড়িয়ে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকার নিপীড়িত মানুষের কাছে মুক্তির সনদ হিসেবে গৃহিত হয়েছে। আরব ভূমির পরবর্তী ধর্ম ইসলামের অনুসারী মুসলমানরাও মহান যিশুকে তাদের অন্যতম নবী ঈসা (আ.) হিসেবে মান্য করেন। এটা তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে নির্দেশিত। একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে এই স্বীকৃতি মহান যিশুর রেখে যাওয়া কর্ম ও বাণীর সার্বজনীনতার প্রমাণ দেয়।

তাঁর কোটি কোটি অনুসারী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে যিশু ঈশ্বরপুত্র, ঈশ্বরের মানব রূপ। এই মতের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীরা সহমত পোষণ না করলেও তারা যিশুর প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল। পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের কাছে যিশুর বাণী নিয়ে খ্রিস্টধর্মযাজকরা আজও মানবতার আদর্শ প্রচার করে চলেছেন। এই সব ধর্মযাজকের জীবনাচার ও সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজও অনেক নিপীড়িতজন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করছেন। সে কারণে বলা যায় ২০০০ বছর আগে যে বাণী নিয়ে মহান যিশু আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তার মাহাত্ম্য আজও সমানভাবে জারি রয়েছে। শুভ বড়দিনে বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে আমরাও এই মহীরূহকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছি।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert