দ্য রিপোর্ট : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আরএন স্পিনিংয়ের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে দায়েরকৃত রিটের শুনানী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও জাফর আহমেদের যৌথ বেঞ্চে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট নুরুন্নবী বুলবুল।

সূত্রমতে, আরএন স্পিনিংয়ের কয়েকজন পরিচালকের রিটের (রিট নং ৩৮৩) পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত ২০ জুন প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এর আগে আরএন স্পিনিংয়ের কয়েকজন পরিচালক নির্ধারিত সময়ে রাইট শেয়ারের অর্থ জমা দিতে না পারায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। এর পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা বিএসইসির কাছে জরিমানা মওকুফের আবেদন করেন।

বিএসইসি আবেদন বিবেচনা না করায় তারা উচ্চ আদালতে বিএসইসির বিরুদ্ধে রিট মামলা করেন পরিচালকরা। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ডিভিডেন্ড ঘোষণার বিষয়টি মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর উচ্চ আদালত পরিচালকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এর আগে আরএন স্পিনিং ২০১২ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের ডিভিডেন্ড ঘোষণার জন্য ২৯ এপ্রিল কোম্পানির বোর্ড সভা আহ্বান করে। বোর্ড সভার পরদিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল কোম্পানিটি সমাপ্ত বছরে শেয়ারপ্রতি আয়ও ঘোষণা করে। কিন্তু ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করে কোম্পানি জানায়, ডিভিডেন্ড ঘোষণার জন্য আদালত থেকে দুই মাস সময় নেওয়া হয়েছে। এর কিছুদিন পর কোম্পানি জানায়, ডিভিডেন্ড ঘোষণার ওপর উচ্চ আদালত ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কিছু শেয়ারহোল্ডার আরএন স্পিনিংয়ের পরিচালকদের দায়ের করা মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে মামলা থেকে ‘ডিভিডেন্ড ঘোষণা’র অংশটুকু খারিজ করার জন্য আবেদন করে।

১৪ জুলাই ইব্রাহিম সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মুনির আহমেদ ও ভিশন ক্যাপিটাল সার্ভিসের বিনিয়োগকারী মাহবুবে রহমান আবেদনটি ফাইল করেন।

মামলার বিষয়ে নুরুন্নবী বুলবুল বলেন, ‘কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বা বাতিলের জন্য নিয়ম মোতাবেক আমার মক্কেলদের মামলার পক্ষভুক্ত হতে হচ্ছে। মামলায় পক্ষভুক্ত না হলে এ নিষেধাজ্ঞা বাতিল বা প্রত্যাহার হওয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। তা ছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার জরিমানা আরোপের সঙ্গে কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়ে কোনো সম্পর্ক নেই।’

এদিকে এ কোম্পানির সব পরিচালক ও সচিবের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছে সিআইডি। জানা যায়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলেও তা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।