দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশীয় পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ১০ শতাংশ বললেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) দাবি করছে ৩৯ শতাংশ। ভোটগ্রহণের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যায় কমিশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হলো।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ওই দিন সন্ধ্যার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। রাত আড়াইটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তখন পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি। তখনও কমিশনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসির দেওয়া ভোটার উপস্থিতির এই হার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের চেয়ে বেশি।

ভোটগ্রহণ শেষে রবিবার দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) দাবি করে, নির্বাচনে সব মিলিয়ে গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ফেমার প্রধান মুনিরা খান সংবাদিকদের জানান, এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে গড়ে ১০ শতাংশেরও কম ভোটার ভোট দিয়েছেন।

মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার ছিল খুবই কম। বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল শতকরা শূন্য ভাগ থেকে ১০ ভাগ পর্যন্ত।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন মোট ২২টি দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এসকে/সা/শাহ/জানুয়ারি ৭, ২০১৪)