দ্য রিপোর্ট কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশে পুনরায় একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার আহবান জানিয়েছে কমনওয়েলথ এবং কানাডা। পৃথক বিবৃতিতে সোমবার এ আহবান জানানো হয়।

লন্ডনে কমনওয়েলথ সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে সীমিত আকারের অংশগ্রহণ এবং ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াকে নৈরাশ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এগোনোর পথ খুঁজে বের করতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মা বিবৃতিতে বলেছেন, ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচন-সম্পর্কিত পরিস্থিতি কমনওয়েলথ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

সহিংস ঘটনাবলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। কমনওয়েলথের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালার সঙ্গে, বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচনের সঙ্গে পরিস্থিতি সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় এবার কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি কমনওয়েলথ।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও প্রক্রিয়াসমূহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং অভিন্ন মূল্যবোধগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক কমনওয়েলথ।

একইভাবে বাংলাদেশের দশম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কানাডাও হতাশা ব্যক্ত করেছে। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন বেইরড সোমবার এক বিবৃতিতে এ হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কানাডা সব দলের অংশগ্রহণে একটি নতুন জাতীয় নির্বাচনকে স্বাগত জানাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যার ফলাফল সব বাংলাদেশী নাগরিকের কাছে হবে বিশ্বাসযোগ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে যা অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দিতে পারে। তাই কানাডা অবিলম্বে সব দলকে মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

কানাডা নির্বাচনকালীন সময়ে সহিংসতায় নিহতের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে এসময়ে বিশেষ করে শিশু, নারী এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে। তাই সব পক্ষের কাছেই এ ধরনের সহিংসতা বন্ধের আহবান জানাচ্ছে।

জন বেইরড বিবৃতিতে বলেন, যেভাবে দেশটির সংসদীয় আসনের অর্ধেকের বেশী আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং বাকী আসনে কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে তা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে ৫ জানুয়ারি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে সমাধানে পৌছতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কানাডাও হতাশা প্রকাশ করছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেআইএল/জেএম/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)