দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত সাত আসনের মধ্যে দুটিতে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তবে আসন দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বগুড়া-৭ আসনে জাতীয় পার্টির মুহম্মদ আলতাফ আলী, গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনজুরুল ইসলাম লিটন, গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ইউনূস আলী সরকার, গাইবান্ধা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপন ভট্টাচা‌রর‌্য ও লক্ষ্ণীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল (নৌকা)।

৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের দিন এই সাত আসনের ৩৯০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।

দিনাজপুর-৪ আসনে প্রথম দফায় ৬৩ কেন্দ্রের পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় বাকি ৫৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে নির্বাচনকালীন সরকারের পাররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা) ৭৪ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওয়ার্কার্স পার্টির এনামুল হক সরকার (হাতুড়ি) পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ ভোট।

বগুড়া-৭ আসনে প্রথম দফায় ১১৫টি কেন্দ্রের পর বাকি ৪৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে জাতীয় পার্টির মুহম্মদ আলতাফ আলী (লাঙ্গল)১৭ হাজার ৮ শ’ ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির (জেপি) এ টি এম আমিনুল ইসলাম (বাই সাইকেল) পেয়েছেন ১০ হাজার ১০৪ ভোট।

গাইবান্ধা-১ আসনে প্রথম দফায় ৫৫ কেন্দ্রের পর দ্বিতীয় দফায় বাকি ৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনজুরুল ইসলাম লিটন (নৌকা) তার নিকটতম প্রতিদ্বনিন্দ্বি জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।

গাইবান্ধা-৩ আসনে বাকি ৮০টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের ইউনূস আলী সরকার (নৌকা) ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদমেুল ইসলাম খুদি (আনারস) পেয়েছেন ১৮ হাজার ২০৪ ভোট।

গাইবান্ধা-৪ আসনে প্রথম দফায় ৫৮টির পর দ্বিতীয় দফায় বাকি ৭২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (আনার)। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৮ হাজার ৫৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (নৌকা) পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬১৪ ভোট।

যশোর-৫ আসনে প্রথম দফায় ৬২টি কেন্দ্রের পর দ্বিতীয় দফায় বাকি ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এতে ৭৮ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপন ভট্টাচা‌র‌্য(কলস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের খান টিপু সুলতান (নৌকা) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪১৮ ভোট।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে প্রথম দফায় ৬০টি কেন্দ্রের পর বাকি ২১টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল (নৌকা) ৪৯ হাজার ৬৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আনারস)পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৯ ভোট। কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি দুপুরেই ভোট বর্জন করেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর‌্যন্ত এই সাত আসনের ৩৯০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। যেখানে মোট ভোটার ছিলো ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ জন।

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, কেন্দ্রগুলোর কোথাও গোলযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এসবি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)