দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : আর ৯ দিন বাকি ঈদুল আজহার। এরই মধ্যে কোরবানির পশু ঢুকতে শুরু করেছে রাজধানীতে। হাট প্রস্তুতির বেশিরভাগ কাজ শেষ। প্রতিটি হাটেই আসছে কোরবানির পশু।

গাবতলী হাটে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম পুরো হাট চত্বর। সঙ্গে পশু সাজানোর সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। আর গরু-ছাগলের পাশাপাশি হাটে শোভা পাচ্ছে বড় আকারের উট। অন্যদিকে মাইকে চলছে ব্যাপক প্রচার। এরই মধ্যে হাটের মূল চত্বরে প্যান্ডেল তৈরি করে পশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বাকি রয়েছে নিরাপত্তা চৌকি আর মূল তোরণ তৈরির কাজ। অন্যদিকে, মহাসড়কে পশুবাহী গাড়িতে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অবশ্য হাট কর্তৃপক্ষের দাবি, হাটের ভেতরে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা।

এবার সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ পাঁচ শতাংশ হারে হাসিল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি হাট চলাকালে ও হাট শেষে পশুবর্জ্য অপসারণে জনসাধারণের সহযোগিতাও কামনা করেছেন এই কর্মকর্তা। রাজধানীতে ২১টি হাটের ইজারা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু চোরাচালান বেড়ে গেছে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গরু খামারিরা। তারা বলছেন, এভাবে গরু আসতে থাকলে গরু পালন করতে যে খরচ হয়েছে তা তোলাই দায় হয়ে যাবে। চোরাচালান রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে, অধিক লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী স্টেরয়েড দিয়ে গরুকে মোটা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৃত্রিমভাবে মোটা করা এসব গরু কীভাবে শনাক্ত করা যায়, তার কয়েকটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন ও ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বেগ।

স্টেরয়েড মূলত হাঁপানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এ জাতীয় ওষুধ যেমন- ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন অতিরিক্ত মাত্রায় দিলে গরুর কিডনি ও যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ায় শরীর থেকে পানি বের হতে পারে না। এ কারণে শোষিত হয়ে পানি সরাসরি গরুর মাংসে চলে যায়। ফলে গরুকে মোটা দেখায়।

স্টেরয়েড খাওয়ানো গরু চেনার উপায় কী- জানতে চাইলে অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বলেন, এসব গরু অসুস্থতার কারণে সবসময় নীরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না।

এসব গরুর পেছনের দিকে ঊরুর পেশিবহুল জায়গায় আঙুল দিয়ে চাপ দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে দেবে যাবে। কারণ বাইরে থেকে মাংস মনে হলেও এখানে মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে।

অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বলেন, কৃত্রিমভাবে মোটা করা এসব গরুকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাই না করলে মারা যায়।

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/অক্টোবর ০৭, ২০১৩)