প্রকল্প বাস্তবায়নে দাতাদের এনজিও প্রীতি বাড়ছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি ইদানীং এনজিওর দিকে ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সমীক্ষার সুপারিশে বিষয়টি উঠে এসেছে। দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু উন্নয়ন সহযোগী প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব এবং জটিলতার যুক্তি দেখিয়ে সরকারের বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব এজেন্ট এবং এনজিওর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। ইতোমধ্যেই এমন কিছু নিদর্শনও দেখা গেছে। এ অবস্থায় সুপারিশ করা হয়েছে যে, বিষয়টি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া উন্নয়ন সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর অনুমোদন ত্বরান্বিত করা উচিত।

পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এনজিও বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছে, এটি স্বীকার করতেই হবে। তবে অনেক সমস্যাও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

আলোচ্য প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে কয়েকটি উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে। তবে সাদা চোখে দেখলেও বাংলাদেশে তৎপর এনজিওগুলোর কার্যক্রমে এর সত্যতা মেলে। আবার সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনজিওগুলোর অভিযোগ যে অযৌক্তিক নয় তারও ভুরি ভুরি প্রমাণ মিলবে। আমরা স্বীকার করি আর না করি দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এনজিও ইতোমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তাও সম্ভব হয়েছে আমাদের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পেয়েই।

স্বাধীনতার যে মন্ত্র নিয়ে একটি জাতির পথচলা শুরু হয় সেখানে বিদেশী সাহায্য সহযোগিতা যদি নিয়ামক অথবা নিয়ন্ত্রকের জায়গা দাবি করে তা হলে সে স্বাধীনতা কখনই সুফল বয়ে আনতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ আজ এ প্রশ্নেরই মুখোমুখি।