দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে হাম ও রুবেলা (এমআর) ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম দিনের টিকাদান কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিবেল ৪টায় শেষ হয়।

তবে অনেক বিদ্যালয়ে শনিবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু না হলেও রবিবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

১৯ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হাম ও রুবেলা টিকার পাশাপাশি ৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে দু’ফোটা পোলিও টিকাও প্রদান করা হবে বলে স্বাস্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।

এ কর্মসূচি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন’-এর সার্বিক সফলতা কামনা করে বলেছেন, ‘এই কার্যক্রম সফলভাবে পালন করার জন্য সকল সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ দেশের প্রতিটি জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলভাবে পালনের মাধ্যমে দেশ থেকে হাম রোগ ও এর ফলে সৃষ্ট জটিলতা দূর হবে। একই সঙ্গে রুবেলা রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম এবং পোলিও রোগ পুনর্সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমাতে এর গুরুত্ব অপরিসীম।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন’ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা ও ৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে দু’ফোটা পোলিও টিকা প্রদান করা হবে।’

তিন সপ্তাহব্যাপী এ কার্যক্রমের ১ম সপ্তাহ পরিচালিত হবে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা লেখাপড়া করে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ২য় ও ৩য় সপ্তাহে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে। যে শিশুরা বিদ্যালয়ে যায় না অথবা বিদ্যালয়ে টিকা নেয়নি তারা এ সব কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া পথশিশু, কর্মজীবী শিশু, কর্মজীবী মায়ের শিশু বা শহর এলাকার অন্য শিশু যারা টিকাকেন্দ্রে যেতে পারবে না তাদের জন্য রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, পার্ক, ফুটপাত ইত্যাদি এলাকায় বিশেষ দল গঠন করে বা অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র চালু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ সব টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে টিকা দেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/জেএম/সা/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)