ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আওয়ামী লীগই সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করছে। আওয়ামী সরকার পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শান্তিপ্রিয় জনগণের হাত-পা কেটে দিচ্ছে। আমরা অতীতে কখনও এ ধরনের জুলুম দেখিনি।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শনকলে শনিবার সকালে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বিএনপি কর্মী আবু হানিফের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও আবু হানিফের শিশু কন্যার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন। বিএনপি’র জেলা নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, ‘জুলুম-অত্যাচার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

এর আগে শুক্রবার রাতে জেলা দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারপার্সনের নির্দেশেই গ্রেফতার এড়াতে আমাকে আড়ালে থাকতে হয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, একটি ধাক্কা আসলেই সেখান থেকে পড়ে যাবে। নির্বাচন বর্জনে যে দুর্বার আন্দোলন হয়েছে তা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এখন যে সরকার গঠন করা হয়েছে তা বেআইনিভাবে হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আবার একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে তারা মৃতপ্রায় অবস্থায় নিয়ে গেছে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করেছিল। তারা সেদিন বিরোধীদলীয় মতামতকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে অগণতান্ত্রিক মধ্যযুগীয় এক আইন পাস করেছিল।’

সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আগেও ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। সংবিধান থেকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে ও মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।’

এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এনএইচ/এসকে/আরকে/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)