দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও রমনা থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা হত্যার কোনো ক্লু এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মতিউর রহমান রিপন, শামসুল আহসান বাহার ও জামাল হোসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, চাঞ্চল্যকর হত্যা হিসেবে অগ্রগতি বলার মতো কিছু হয়নি। আটকদের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি। সাংগঠনিক পদ না পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে রানা খুন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওসি জানান, এ ছাড়া এলাকায় ডিশ ব্যবসা নিয়ে অনেকের সঙ্গে রানার দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণেও রানাকে খুন করা হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। নাশকতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রদানের কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

রমনা মডেল থানায় শুক্রবার রাতে রানার ভাই মতিউর রহমান অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

রানা হত্যার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জাপানি তানভীর ও তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

রানার ভাগ্নে আদর দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রানা মটরসাইকেলে করে মগবাজার মসজিদ গলি দিয়ে যাওয়ার সময় তানভীর ও তারেক প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি ছিলেন পিছনে আরেকটি মটরসাইকেলে।

পরিবারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে তানভীর ও তারেককে বাধা দিত। রানা বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবকে তথ্য দিত। এ সব কারণেই রানাকে হত্যা করা হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদর কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, এটা পরিবারের বিষয়। আমি কিছু বলতে পারব না।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগবাজারের মসজিদ গলিতে রানাকে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এরপর রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)