দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনা-বেচা বা হস্তান্তরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত বছরের ২০ জুন, বৃহস্পতিবার বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা প্রথমবারের মতো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

জানা গেছে, রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি করায় গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিএসইসি। এ ছাড়া রাইট শেয়ার-সংক্রান্ত দাখিল করা কাগজপত্র জাল হওয়ায় কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ব্যাংক হিসাবে কোম্পানির রাইট শেয়ারের ২৭৮ কোটি টাকার জাল কাগজপত্র দাখিলের অভিযোগে গত বছরের ১০ অক্টোবর আরএন স্পিনিংয়ের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ মোট সাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়।

রাইট শেয়ার নিয়ে আরএন স্পিনিংয়ের জালিয়াতি-সংক্রান্ত ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ কোম্পানির পরিচালক ও অবলেখক রাইট শেয়ারের অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। আর কোম্পানির তিন পরিচালক শিরিন ফারুক, কিম জুং সুক ও এমএল ডাইং নির্ধারিত সময়ের পর রাইট শেয়ারের টাকা জমা দেয়। রাইট শেয়ারের জন্য অবলেখক ছিল এএএ কনসালট্যান্ট, বানকো ফিন্যান্স, বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল সিকিউরিটিজ ও আলফা ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট। সব প্রতিষ্ঠানই রাইট শেয়ারের অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিএসইসি। বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা নং এসইসি/এসআরএমআইসি/১৫/২০১২/৫০৪, তারিখ ২০.০৯.২০১২।

পরবর্তী সময়ে বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে আরএন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক এবং বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বেঞ্চ বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএন/এনআই/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)