মাহফুজ স্বপন, দ্য রিপোর্ট : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য ১০টি, ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ১০টি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ১০টি প্রতীক চূড়ান্ত করে পরিপত্র জারি করেছে ইসি। সোমবার ইসির সহকারী সচিব মো. আশফাকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. আশফাকুর রহমান এ বিষয়ে জানান, ৩০টি প্রতীক ব্যবহার করেই হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে কোনো উপজেলায় একই পদে ১০ জনের বেশি প্রার্থী হলে সে উপজেলায় অতিরিক্ত প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ জন্য প্রার্থী যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ দেবেন।

প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কমিশন সচিবালয়ের পরিপত্র-৩ এ বলা হয়েছে, নির্ধারিত প্রতীক বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ এর অধিক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য অতিরিক্ত প্রতীক ২২ বিধির (৩) উপ-বিধি অনুসারে অতিরিক্ত প্রতীক বরাদ্দ করবেন।

চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১০টি প্রতীক হলো- আনারস, কাপ-পিরিচ, চিংড়ি মাছ, মোটরসাইকেল, ঘোড়া, টেলিফোন, দোয়াত-কলম, ব্যাটারি, হেলিকপ্টার ও ফেজ টুপি।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্ধারিত ১০টি প্রতীক হলো- চশমা, টাইপরাইটার, তালা, টিউবওয়েল, মাইক, উড়োজাহাজ, টিয়াপাখি, জাহাজ, বই ও বৈদ্যুতিক বাল্ব।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ১০টি প্রতীক হলো- প্রজাপতি, হাঁস, ফুটবল, ক্যামেরা, কলস, পদ্ম ফুল, ফুলের টব, বৈদ্যুতিক পাখা, তীর-ধনুক ও সেলাই মেশিন।

উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে এবার টেলিভিশন ও ফুটবল থাকছে না বলে জানিয়েছেন ইসির সহকারী সচিব মো. আশফাকুর রহমান। তিনি জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ দুটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় উপজেলা নির্বাচনে এ প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।

প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের জন্য উপজেলা নির্বাচন বিধি ২২(১) এর (ক) অনুযায়ী বরাদ্দকৃত টেলিভিশন প্রতীকের জায়গায় এখন দোয়াত-কলম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদের জন্য বিধি ২২(১) এর (খ) তে উল্লেখিত ফুটবল প্রতীকের পরিবর্তে জাহাজ দেওয়া হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টেলিভিশন প্রতীকে নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে ও ফুটবল প্রতীক স্বতন্ত্র প্রাথীদের দেওয়া হয়েছিল। তাই এ প্রতীক দুটো আর উপজেলা নির্বাচনে দেওয়া হবে না।

প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দমতো যে কোনো একটি প্রতীক মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করবেন।

নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রার্থীগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে রিটার্নিং অফিসার যতদূর সম্ভব প্রার্থীগণের পছন্দের প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বরাদ্ধকৃত প্রতীকের অধিক প্রার্থী হলে কমিশন ওই তালিকায় নতুন প্রতীক সংযোজন করতে পারবে। রিটার্নিং অফিসার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজিয়ে তার বিপরীতে বরাদ্দকৃত প্রতীক সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এমএআর/শাহ/জানুয়ারি ২৮, ২০১৪)