‘দিনে শিল্প প্রতিষ্ঠানে সোলার পাইপলাইট ব্যবহার করুন’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এক্সপোর্ট জোন অথরিটির (বেজা) নতুন এক শ’ অর্থনৈতিক জোনের সকল কারখানায় সোলার পাইপলাইট ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
তিনি বলেন, এ সব কারখানায় দিনের বেলায় সূর্যের প্রাকৃতিক আলোর মাধ্যমে ১০-১২ ঘণ্টা সোলার পাইপলাইট ব্যবহার করা গেলে ৩০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব হবে।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বুধবার দুপুরে সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনেবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এনার্জি অথরিটি, গিজ বাংলাদেশ ও চেঞ্জ আয়োজিত এক সেমিনারে এ সব কথা বলেন।
‘সোলার পাইপ লাইট পাইলট প্রকল্প : শিল্প এড়িয়াতে দিনের আলো ব্যবহার করার একটি কার্যকর উপায়’ শিরোনামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় শিল্প, বিল্ডিং ও হোটেলগুলোতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। আমাদের দেশে বড় বড় যে সব শিল্প-কারখানা আছে, দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে, এটা না করে যদি সোলার পাইপলাইটের মাধ্যমে সূর্যের আলো ব্যবহার করা যায়, তাহলে একদিকে যেমন আমাদের খরচ কমবে অন্যদিকে জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দু’জন সোলার পাইপ উদ্ভাবনকারীকে ভারত বা শ্রীলঙ্কাতে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সফর করানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
সভাপতির বক্তব্যে স্পারডো চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সে সময় আমাদের ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এর ১০ ভাগই করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে। এ জন্য বর্তমান সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদেরই তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে সোলারকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোলার পাইপলাইটের উদ্ভাবক সাজিদ ইকবাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে সোলার পাইপলাইট ব্যবহার করলে দিনের বেলায় ৩০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। তিনি এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিব উল্লাহ, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনেবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরএ) সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, সাসটেইনেবল এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট (এসইডি)-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আল মুদাব্বির বিন আনাম, স্পারডোর সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/সা/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫)