দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চট্টগ্রামে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে যুব বিশ্বকাপের ১১তম আসর। দুই বছর আগে ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ১০ম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই আসরের দুই পেসার কাগিজো রাবাদা ও মুস্তাফিজুর রহমান ইতোমধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছেন।

বলতে গেলে ২০১৫ সালটি ছিল এ দুই পেসারের উত্থানের বছর। বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নিয়মিতই বিব্রত করে গেছেন তারা। আইসিসির ২০১৫ সালের সেরা উদীয়মান তারকার লড়াইয়ে আছেন এ দুই জনই।

২০১৪ সালের যুব বিশ্বকাপে কাগিজো রাবাদা ৫ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। ২৫ রানে তার নেওয়া ৬ উইকেট ছিল ওই টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেই দাপট অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সর্বশেষ সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে তিনি দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। যা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে টেস্টে ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই একের পর এক বিস্ময় সৃষ্টি করে যাচ্ছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। অভিষেক ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে তার উত্থান। পরের ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে নিজেকেই ছাড়িয়ে যান তিনি। আর বছর শেষে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশেও স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালের যুব বিশ্বকাপে মুস্তাফিজ ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। বুধবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ২০১৬ সালের যুব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশের যুবারা। তাই এখন দেখার বিষয়, এ বিশ্বকাপে নতুন আরও মুস্তাফিজের দেখা মিলে কি না।

(দ্য রিপোর্ট/এলআরএস/এম/জানুয়ারি ২৭, ২০১৬)